শেষ সময়ে ভোটারদের টান টিটুর ঘড়ি প্রতীকে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ভোটের মাত্র একদিন বাকী। আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা বন্ধ হয়েছে। এখন চলছে ভোটারদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা। কাকে কেন ভোট দেবেন পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল তর্ক-বিতর্ক। ভোটের মাঠে এমন চিত্র দেখা গেছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনে। ময়মনসিংহ নগরী ভোটাদের তর্ক যুদ্ধের কেন্দ্রে রয়েছে ঘড়ি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম প্রতিষ্ঠাতা মেয়র ছিলেন সদ্য বিদায়ী মেয়র ইকরামুল হক টিটু। ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত হাতি প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট সাদেক খান মিল্কী টজুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা তুঙ্গে বলে মনে করছেন নগরবাসী। ভোটাররা জানান, ইকরামুল হক টিটু ময়মনসিংহ পৌরসভার কাউন্সিলর, ভারপ্রাপ্ত মেয়র থেকে শুরু করে সিটি মেয়র হিসাবে বিগত প্রায় ২০বছরের দক্ষ ও মানবিক জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভোটারদের আলাদাভাবে মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছেন।

দুর্যোগ-সংকটে সহায়তা করে সর্বজনের জনপ্রিয়তায় আত্মবিশ্বাসী আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আশা করলেও শেষ পর্যন্ত স্থানীয় সরকার কোন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবেনা দলটির এমন সিদ্ধান্তে দলীয় বিহীন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন মেয়র টিটু । ইকরামুল হক টিটু সিটি নির্বাচনে এবার লড়ছেন ‘ঘড়ি’ প্রতীক নিয়ে। আর সিটি করপোরেশনের প্রথমবার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ইকরামুল হক টিটু। ভোটের লড়াইয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে অনড় এই প্রার্থীই। নির্বাচন সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, ভোট উৎসব হবে এই সিটিতেতে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত দিনে মেয়র হিসেবে ভালো কাজের মাধ্যমে ময়মনসিংহ নগরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ইকরামুল হক টিটুর তিনি আশাবাদী ছিলেন দলীয় মনোনয়নের। তবে দলীয় মনোনয়ন ও প্রতীকে নির্বাচন না হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং জনগন তাকেই ঘড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারও নির্বাচিত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন।

এদিকে, টানা তিনবার আওয়ামী লীগের দখলে থাকা ময়মনসিংহ নগরীতে এবার নৌকা প্রতীক না থাকলেও ভোটাররা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটুই প্রার্থী হিসাবে মনে করে ঘড়ি মার্কার বিজয় নিশ্চিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ময়মনসিংহ সিটি উপহার দিতে চাইছেন বলে একাধিক দলীয় নেতাকর্মীরা জানান। ভোটের মাঠে এই এই প্রার্থীকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।

ভোটাররা বলছেন, মেয়র প্রার্থী টিটু বিগত দিনে প্রতিটি দুর্যোগ, সংকটে পাশে থেকেছেন। দিয়েছেন সহায়তা। মানবিক ব্যক্তি হওয়ায় ভোটারদের সহানুভূতির তীর অনেকটাই টিটুর দিকে।

২৩নং ওয়ার্ড এলাকার কয়েকজন ভোটার বলেন, ‘বিগত দিনে ইকরামুল হক টিটু মেয়রের দায়িত্বে থেকে নগরী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সহযোগীতা নিয়ে আমাদের পাশে রয়েছেন। তাকে যখন চাই তখনই পাই,আচার-আচরণে ভালো মানুষ। তিনি আবারও ভোটের মাঠে। খুব ভালো লাগছে যে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবো। কারণ টিটু ১৫-২০ বছর ধরে যে কোনো বিপদে আমাদের খোঁজ খবর রেখেছেন তাই আমরা চাই তিনি নির্বাচিত হোক।

মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক বলেন, নানা কুটকৌশলের মধ্যেও গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাকে নিরঙ্কুশ জয় এনে দিয়েছিল এই আসনের মানুষ। সেসময় ভোট না হলেও মানুষ আমার পাশে ছিলো,এবারও সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আমার পক্ষে ভোট বিপ্লব হবে। আমি জনগণের পাশে ছিলাম, পাশে আছি এবং সবসময় থাকবো। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজকে বেগবান করবো।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *