আনোয়ার হোসেন,
নেছারাবাদ (পিরোজপুর)প্রতিনিধি //
স্বরূপকাঠি উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নে ১৩২ নং মধ্য সুটিয়াকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংকট প্রকট। মাত্র ১৭ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে তৃতীয়,চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেনীর পাঠদান। এই ১৭ জনের মধ্যে আবার ৭ জন পার্শবর্তী ধারকরা মাদ্রাসার ছাত্র। আবার স্কুলের তিন শিক্ষিকার তিনজন বাচ্চার পড়াশুনা চলে পার্শবর্তী এক থেকে দের কিলোমিটার দুরে কিন্ডার গার্টেনে স্কুলে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এটিও গিয়াসউদ্দিন বলেন,আমি এই ক্লাটারে নতুন এসেছি কিছু বলতে পারবো না।
বেলা সারে এগারোটায় ক্লাস ঘুরে দেখা যায় যায় স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে তিন জন, চতুর্থ শ্রেনীতে দুইজন এবং পঞ্চম শ্রেনীতে তিনজন এর মধ্যে একজন এক ছাত্রীর বাসায় বেড়াতে এসেছে। শিক্ষিকার কাছে জিগ্যেস করলে কেনো তাদের বাচ্চাদের এ স্কুলে পড়াশুনা করান না এ ব্যাপারে স্কুলের সহকারি শিক্ষিকা দিবা আমিন বলেন, স্কুলের পরিবেশ ভালো না থাকার কারনে আমি আমার বাচ্চা এ স্কুলে পড়াইনা। অন্য আরেক শিক্ষিকা সুগন্ধা বলেন আমার মেয়েকে কিন্ডার গার্টেনে পড়ালেও ওখানের ক্লাস শেষে আবার এখানেই ক্লাস করাই। তিন ক্লাসে মাত্র পাচজন শিক্ষার্থী উপস্থিত আছেন যার মধ্যে একজন এ স্কুলে বেড়াতে আসেছিলো ।
এদিকে সাবেকুন্নাহার নামে এক শিক্ষার্থী আন্তঃইউনিয়ন প্রাথমিক বিদ্যালয় দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়।এই সাবেকুন্নাহারের গানে নাম থাকলেও তাকে গানে অংশগ্রহন করতে দেননি প্রধান শিক্ষক। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বলেন অনুষ্ঠানে রাত হয়ে যাওয়ায় সাবেকুনের অভিভাবক তাকে বাসায় নিয়ে আসতে বলেন।তাৎক্ষনিক শিক্ষার্থীর বাবার সাথে লাউড স্পিকারে মুঠোফোনে কথা হয় এ প্রতিনিধির।তিনি বলেন এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা বা অন্য কারো সাথেই আমাদের কথা হয়নি।ওনারা ইচ্ছা করেই আমার মেয়েকে গানে অংশগ্রহন করতে দেয়নি। কেনো মিথ্যার আশ্রয় নিলেন জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষিকা আন্জুয়ারা বেগম নিশ্চুপ থাকেন।
এদিকে প্রধান শিক্ষিকাসহ ৬ জন শিক্ষিকাই স্কুলে দেরি করে আসেন ও সময়ের আগেই চলে যান এমন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন আমার কথা সহকারি শিক্ষিকারা শোনেনা।তারা একজন দেরি করলে অন্যজনও দেরি করে আসে এভাবেই চলছে।
এছারা খুদ্র মেরামত ও স্লিপের টাকার যথাযথ ব্যবহার না করার অভিযোগও রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।খুদ্র মেরামতের টাকায় শুধু চুনকাম করিয়েই খ্যান্ত দেন বলে জানান দুজন অভিভাবক । অফিস কক্ষে ছাদের পলেস্তারা ঝুলে রয়েছে যে কোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা বলেন কাজ করিয়েছি কিন্ত সবটা হয়নি।
এসব ব্যাপারে জানার জন্য কথা হয় সাবেক সভাপতি মোঃ খোকন সাহেবের সাথে।তিনি বলেন আমার সময়ে স্কুলে সব ক্লাস মিলিয়ে মাত্র ৫ জন ছাত্র ছিলো।স্কুলের প্রধান শিক্ষক খুদ্র মেরামতসহ কাজ করিয়েছেন বা না করিয়েছেন আমি এগুলার কিছুই জানিনা। বর্তমান সভাপতি সাইয়েদা জাহিদা সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরই, পরে কথা বলবো বলে সংযোগ কাটেন।কিন্ত ২০ ঘন্টা পার হলেও তিনি আর কল করেননি।
অনিয়মের আখড়া এ স্কুল নিয়ে মুঠোফোনে কথা হয় এটিও গিয়াসউদ্দিনের সাথে।তিনি বলেন আমি এ ক্লাস্টারে নতুন এসেছি তাই ভালো করে সব কিছু বলতে পারবোনা।আপনাদের প্রকাশিত সংবাদ আমার জন্য উপকার বয়ে আনবে এবং শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনবে আশা রাখি।
নেছারাবাদ (পিরোজপুর)প্রতিনিধি।

Leave a Reply