পিবিজিএসআই প্রকল্পের ৫ লাখ টাকা কার পকেটে ?

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর সোনাতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সরকারি অনুদানের ৫ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছৈ। এ নিয়ে স্কুলটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক পরস্পরকে দুষছেন। সম্প্র্রতি ওই স্কুলে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) প্রকল্প থেকে ৫ লাখ টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। বরাদ্দকৃত টাকায় ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে পিবিজিএসআই প্রকল্পের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল সভাপতি ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি প্রথমে ৩ লাখ টাকার চেকে স্বাক্ষর করে দেন। প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন সেই টাকা খরচের কোন হিসাব দেননি। তাকে বার বার তাগিদ দেওয়ার পরও তিনি কোন ভাউচার ও সমপরিমাণ কাজ স্কুলে দেখাতে পারেনি। সভাপতির দাবী, পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে স্কুলের একাউন্ট থেকে দুই লাখ টাকা তুলে গায়েব করে দেন। এই টাকা প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিনকে ফেরৎ প্রদানের জন্য বার বার তাগিদা দেওয়ার পরও তিনি কোন হিসাব দিচ্ছেন না। অন্যদিকে সনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন স্কুলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ উক্ত বিদ্যালয়ের পিবিজিএসআই এর অনুদানের ৫ লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ টাকা প্রদান করেন। এর বাইরে তিনি কোন টাকা দেননি। টাকা প্রদানের সময় হরিণাকুন্ডুর দৌলতপুর পিবি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জামাল উপস্থিত ছিলেন বলেও প্রধান শিক্ষক জানান। এদিকে অনুদানের এই টাকা কার পকেটে উঠেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক একঅপরকে দোষারোপ করলেও বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকার শিক্ষানুরাগীরা সুষ্ঠ তদন্ত করে টাকা উদ্ধারের দাবী জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল বারী জানান, টাকা নয়ছয় করার বিষয়টি আমি জেনেছি। তিনি বলেন, দোষি যেই হোক তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যব¯া গ্রহন করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *