নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী: রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদোগ্যে এপি কার্যক্রম সমাপনী ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠান বিষায়ক প্রারম্ভক সভা অনু্ষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টার সময় উপজেলা পরিষদ অডিটারিয়ামে গোদাগাড়ী এপির ম্যানেজার প্রেরনা চিসিমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী প্রেস ক্লাবের সভাপতি এবিএম কামরুজ্জামান বকুল, মহিশালবাড়ি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান মোঃ হায়দার আলী, গোদাগাড়ী শিশু নিকেতনের অধ্যক্ষ বরজাহান আলী পিন্টু, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি একে তোতা, পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম রাব্বানী, ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা, শ্যামল কাস্তা, ডেবিট, শ্যামল এইচ কাস্তা প্রমূখ।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের এপির ম্যানেজার প্রেরণা চিসিম বলেন, আমাদের কার্যক্রম ২০০৮ ইং সালে শুরু হয়। এ বছর ওয়ার্ল্ড ভিশনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। শিশু সুরক্ষা, শিশুর উন্নয়ন, শিশুর বিকাশ, শিশু নির্যাতনের বিষয়ে কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এখানে ৬৬ টি শিশু ফোরাম আছে ৯০০ জন শিশু নিয়ে কাজ করা হয়ে থাকে। এসব শিশুদের অনেক সফলতার গল্প রয়েছে। বাল্যবিয়ে থেকে তারা দূরে থাকছে। গ্রামে গ্রমে সচেতেনতা সৃষ্টি করা হয়ে থাকে, বাল্যবিয়ে, শিশু নির্যাতন আগামীতে শূন্যতে নেমে আসে সেদিকে নজর দিতে হবে। ৮২০ শিশু নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, প্রতিদিন তাদের ওজন নেয়া হচ্ছে, দৌহিক গঠন সম্পর্কে অভিভাবকদের অবহিত করা হচ্ছে। ১২ বছর থেকে ১৮ বছরের ৮০০ জন শিশুদের নিয়ে নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করেছে।
উপস্থিত বক্তাগণ বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি হতদরিদ্র আদিবাসীদের বকনা গরু, ছাগল, হাঁস, বিতরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নত টয়লেট, পরিবেশ বান্ধব চূলা ব্যবহার, স্যানিটেশন , সামগ্রী বিতরণ করেছেন। সাফিন নামে একটি শিশু বাকপ্রতিবন্ধি ছিল, সে স্কুলে গিয়ে অন্যান্য শিশুদের কথা বলে নিজে এখন কথা বলতে পারছে। স্কুলে শিশুটি এখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ালেখা করতে পারছেন। সে যদি স্কুলে যাওয়ার পরিবেশ না পেত এ সাফল্য পাওয়া যেত না।
তারা বলেন, ২০২৪ ইং সালে সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কার্যক্রম শেষ হয়ে যাবে। সে কাজগুলি আমরা আগামীতে চলমান রাখা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বক্তরা বলেন, অভিভাবকগন শিশুদের হাতে স্মার্ট মোবাইল ফোন কিনে দিচ্ছেন, এর অপব্যবহারের কারনে তারা ছেলে বন্ধু ম্যানেজ করে সম্পর্কে জড়িয়ে, বাল্যবিয়ে করাতে বাধ্য করেন পিতামাতকে। না দিলে বাড়ী থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন। অভিভাবকদের বেশী সচেতন হতে হবে। শিশু শ্রম আমাদের দেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অভিভাবকদের সচেতন করলে শিশু শ্রম কমবে। ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রতিবছর ৮২০ জন শিশুকে সুন্দরভাবে সুরক্ষা করেছেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের কার্যক্রম সত্যিই চমৎকার। গ্রামের পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করছে। শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছেন। এ অনুষ্ঠানে, পরবর্তী কার্যক্রম গুলি পরিচালনার জন্য ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি আগামী দিনে ওয়ার্ল্ড ভিশনের রেখে দেয়া কাজ গুলি সুন্দর, সুষ্ঠভাবে চলবে এ প্রত্যাশা করা হয়।
মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।
Leave a Reply