প্রতিপক্ষের জমি নিজের দাবি করে ২০০ কলাগাছ কেটে ফেলার অভিযোগ

আনোয়ার হোসেন,

স্বরূপকাঠি(পিরোজপুর) প্রতিনিধি,

কলাগাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা।দু’টি বাগানের ২০০ কলাগাছ কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষ। প্রতিপক্ষের জমি নিজের দাবী করে বাক বিতান্ডার এক পর্যায়ে কলাগাছ কেটে ফেলে দেয় আহম্মেদ হোসেন শাহরিয়া । সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দিয়ে বুক ফুলিয়ে নিজকে বিএনপির ক্যাডার দাবী করে বলে আমার গাছ আমি কেটেছি তাতে কার কি আসে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে স্বরূপকাঠি উপজেলার সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের সাগরকান্দা গ্রামে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান নেছারাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় অভিযোগের সূত্রে জানতে পেরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে আনিসুর রহমান জমির পরিচিতি ও মালিকানা কাগজপত্র দেখান। সাগরকান্দা (মৌজার নাম ছাগলকান্দা) গ্রামের শেষ প্রান্তে রামচন্দ্রপুর মৌজার সীমান্তের ছাগলকান্দা মৌজার ২৪৮ নং দাগে আনিসুর রহমানের রোপিত ২০০ টি কলাগাছ বিবাদী আহম্মেদ হোসেন শাহরিয়া কেটে ফেলেছে। সাংবাদিকরা ছবি তুলছিল। এমন সময় সেখাণে আহম্মেদ হোসেন শাহরিয়া উপস্থিত হয়ে ছবি তুলতে নিষেধ করেন।

একপর্যায়ে নিজকে বিএনপির ক্যাডার পরিচয় দিয়ে বলেন আমার জমির গাছ আমি কেটেছি তাতে কার কি ? আপনারা ছবি তুরছেন কেন? এসময় বাদী আনিসুর রহমানকেও হুমকি দিচ্ছিলেন। এরপর বাদী জমির ম্যাপ(নকসা) ও মালিকানা রেকর্ডের পর্চায় দেখান যে জমির মধ্যে কলাগাছ রোপন করা তার দাগ নম্বর ২৪৮ যা বাদির পিতা তাজেন মল্লিক ও মাতা জোবেদা কাতুনের নামে বিএস ৭৮ নং খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত। অপর দিকে এর দক্ষিন পশের জমির মালিক বিবাদীর পিতা আমির হোসেন তালুকদারের নামে বিএস ৪৫ নং খতিয়ানে রেকর্ডভুক্ত।

এসময় উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আইউব আলী তালুকদার বলেন, এ জমি আনিসুর রহমানের পিতা মাতার নামে রেকর্ডভুক্ত। দীর্ঘ দিন ধরে তারা এ জমি ভোগ দখল করে আসছেন। কলাগাছসহ সব ধরনের গাছ পালা আনিসদের লাগানো। শাহরিয়ার জমি এর দক্ষিন পাশের প্লট। যা উভয়ের বিএস রেকর্ডে প্রমান পাবেন। এসময় আহম্মেদ হোসেন শাহরিয়া তাকে উচ্চবাচ্য কথা বলেনএবং দুই ঘন্টার মধ্যে কাগজপত্র দেখাবেন বলে চলে যান। এরপর ৪ ঘন্টা ীতবাহিত হলেও শাহরিয়া কোন কাগজপত্র দেখান নি।
এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, আমি ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এস আই নুরুল আমিনকে দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *