তানোরউপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মামুন

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক ও কামারগাঁ ইউনিয়নের (ইউপি) দুবারের সফল চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রস্ত্ততি নিচ্ছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উচ্চ শিক্ষিত, তরুণ ও মেধাবী রাজনৈতিক নেতা
আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তিনি দলীয় মনোনয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দীতার ইচ্ছে প্রকাশ করে নির্বাচনের প্রস্ত্ততি করছেন বলে নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মাঝে আলোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন ও সমাজ সেবামূলক কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজে ও তার পরিবার সম্পৃক্ত রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্চ শিক্ষিত, তরুণ, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও মেধাবী নেতৃত্ব হিসেবে তার একটা নিজ্বস্ব ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে। অন্যান্য সবকিছু তার অনুকুলে রয়েছে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হলে তার বিজয়ের সম্ভবনা অত্যন্ত উজ্জল বলে মনে করছে তৃণমুলের নেতাকর্মীরা। তৃণমূলের অভিমত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে তিনি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান হবার সকল যোগ্যতা থাকার পরেও রাজনৈতিক গ্যাড়াকলে পড়ে তিনি স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে সুন্দর সুযোগ নষ্ট করেছেন। কিন্ত্ত দীর্ঘদিন অতিবাহিত হবার পর তার বোধহয় হয়েছে, রাজনীতি করা মানুষ রাজনীতির বাইরে চাইলেও থাকতে পারে না। আর রাজনীতি করতে চাইলে মুলস্রোতের বিপরীতে টিকে থাকা যায় না। এই বোধহয় থেকেই তিনি আবার সাংসদের সঙ্গে গাঁটছাড়া বেঁধে রাজনীতি করতে চান। সাধারণ মানুষের অভিমত যেখানে একটি পরিবারের দুই ভাই থাকলে তাদের মধ্যেই মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। সেখানে রাজনীতিতে নেতাকর্মীদের মাঝে মতবিরোধ মতপার্থক্য থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। আবার দলের প্রয়োজনে তারা ঐক্যবদ্ধ হবে এটাও স্বাভাবিক।এছাড়াও মামুনদের মতো নেতৃত্ব মুলধারার সঙ্গে থাকা প্রয়োজন সেটা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে।
এদিকে মামুনের একটি ঘনিষ্ঠ সুত্র জানায়,ইতমধ্যে তিনি স্থানীয় সাংসদের সঙ্গে গাঁট ছাড়া বাধার অঙ্গীকার করে রাজনীতিতে সরব হবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
সুত্র জানায়, মামুন জনসাধারণের কাছে অঙ্গীকার প্রকাশ করে বলেছেন,তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান তিনি তার সকল যোগ্যতা ও দক্ষতা দিয়ে সাংসদের সহযোগিতায় উপজেলার অবহেলিত জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে
কাজ করবেন। তার পরিবারের সকলেই সমাজে প্রতিষ্ঠিত। ফলে তাঁর ব্যক্তিগত কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, মূত্যুর আগে তিনি তানোরবাসীর জন্য একটা কিছু করে যেতে চান। ইতমধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড তাকে সবুজ সঙ্কেত দিয়ে সাংসদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা হচ্ছে।
জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল-মামুনের জন্ম একটি অন্যতম রাজনৈতিক সচেতন ও সমভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। উপজেলা জুড়ে তার পরিবারের ব্যাপক সামাজিক
পরিচিতি রয়েছে এবং ছাত্র জীবন থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের এবং প্রতিমন্ত্রী এ আরাফাতসহ জাতীয় পর্যায়ে অনেক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তার রয়েছে গভীর ও নিবিড় সম্পর্ক। একজন উচ্চ শিক্ষিত সৎ, যোগ্য ও আদর্শিক নেতৃত্ব
হিসেবে তার একটা পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ রয়েছে সর্ব মহলে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণের
অভিমত, এসব বিবেচনায় আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে তিনি প্রার্থী হলে তার বিজয় প্রায় নিশ্চিত।
তাকে একজন যোগ্য ও শক্ত প্রার্থী বলে বিবেচনা করছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন, উপজেলার অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ও নেতা এলাকায় নিজ নিজ বলয় তৈরীতে ব্যস্ত। অধিকাংশক্ষেত্রে তারা দলের সাংগঠনিক কাজে নিবেদিতপ্রাণ নয়। যার প্রমাণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে প্রমাণ হয়েছে।এবিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও আব্দুল্লাহ আল মামুনের কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।#

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *