May 3, 2024, 8:07 pm
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা বেশকিছুদিন থেকে একাধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গোদাগাড়ী -তানোরের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীকে নিয়ে বিভিন্ন নেতিবাচক কথা বলাবলি করে আসছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন স্থানে।
তিনি বিভিন্ন সংস্থার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসা করে শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন এলাকায় ব্যপক অভিযোগ রয়েছে। গত ২৫ আগষ্ট বিদিরপুর উত্তরা বালিকা বিদ্যালয় মাঠে ১৫ আগষ্টের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যের সময় সোহেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির কথা বলেন এলাকাবাসী। এসময় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, আপনারা যদি মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি কে ২/৫শ টাকা বিনিময়ে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন তার কাছ থেকে কিভাবে ভাল সেবা পাবেন। তার নিকট হতে চারিত্রিক সনদ কিভাবে নিবেন।
তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর পরই নারী কেলেংকারীতে জড়িয়ে পরেন। খোজ নিয়ে জানা যায়, তিনি অনেক আগে থেকেই পর নারীতে আসক্ত। কিছুদিন আগে ছয়টি ভূয়া প্রজেক্ট দেখিয়ে মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২২ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেন।
এটা অন্যান্য ইউপি সদস্যরা জানতে পারলে ইউনিয়ন পরিষদে চাঞ্চল্যকর কর পরিবেশ তৈরি হয়। ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করেন এবং সেটা ডিসি অফিসে এখন তদন্তধীন অবস্থায় রয়েছে।
এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে সাধারন জনতা ও দলীয় নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সোহেল রানার কাছে জানতে যায় অপপ্রচার গুলো তিনি কেন চালাচ্ছেন। এমতাবস্থায় চেয়ারম্যান সোহেল রানা তার ক্যাডার বাহিনীদের ফোনে ডাকেন। এতে সাধারণ জনগন ও দলীয় নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে চেয়্যারমান সোহেল রানা ও তার ক্যাডার বাহিনীকে গণধোলাই দিলে চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও তার ক্যাডাররা পরিষদ থেকে পালিয়ে রক্ষা পান।
এবিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানাকে একাধিক বার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী।