সেনবাগে গ্রাহকের ৪০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে মতিমিয়ারহাট সমিতির দায়িত্বশীলরা উধাও

রফিকুল ইসলাম সুমন (নোয়াখালী)

নোয়াখালীর সেনবাগে শতাধিক গ্রাহকের সাধারণ সঞ্চয় ও বিভিন্ন মেয়াদী ডিপিএস এর জমানো প্রায় ৪০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে সমিতির দায়িত্বশীলরা উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মতিমিয়ার হাট বাজারে অবস্থিত “মতিমিয়ার হাট বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ ( রেজিঃ নং ঃ নোয়া -১৫৮) নামে একটি সমিতি বিগত ৮ -১০ বছর যাবত ঐ এলাকার মানুষদের আকর্ষণীয় লভ্যাংশ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাপ্তাহিক ও মাসিক সাধারণ সঞ্চয় এবং বিভিন্ন মেয়াদী ডিপিএস এর অর্থ আদায় করে আসছিলো। কিন্তু বিগত ২ বছরের ও অধিক সময় যাবত সমিতির অফিস বন্ধ করে দিয়ে গ্রাহকদের নিকট হতে অর্থ আদায় কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে সমিতির দায়িত্বশীলরা।এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েন প্রায় শতাধিক গরীব ও হতদরিদ্র গ্রাহক।এমন পরিস্থিতিতে সমিতির সদস্যরা, সভাপতি জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ডাঃ স্বপন ও আদায়কারী শহিদুল্লাহর নিকট বার বার তাদের জমাকৃত সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করার আবেদন করে ও অদ্যবধি পর্যন্ত পাননি।
উপরন্তুু আদায়কারী শহিদুল্লাহর অনেকের টাকা ফেরৎ দিবে বলে তাদের হিসাব বই নিয়ে জব্দ করে বর্তমানে গা ঢাকা দিয়েছেন।গ্রাহকদের অভিযোগ প্রায় শতাধিক গ্রাহকের ৪০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে বর্তমানে সমিতির দায়িত্বশীলরা পলাতক রয়েছেন এবং টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে একে অপরকে দুষছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনকে ফোন দিলে, তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বার বার ফোন কেটে দেন এবং একপর্যায়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন।সমিতির আদায়কারী শহিদুল্লাহকে ফোন দিলে তিনি তার স্ত্রী ও মেয়েকে দিয়ে ফোন রিসিভ করান এবং তারা বলেন শহিদুল্লাহ বাড়ীতে নেই। এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাঈদ মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান, গত ২ বছর ধরে এই এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে গেলেই নারী – পুরুষদের এই অভিযোগ শুনতে হয়। সমিতির দায়িত্বশীলরা এলাকায় থাকেন না। তাই এ ব্যাপারে আমরা কিছুই করার নেই।

সমিতির ভুক্তভোগী সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, তাদের কষ্টার্জিত সঞ্চিত টাকা ফেরৎ পেতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এবং এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করার প্রক্রিয়া চলছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *