January 15, 2025, 7:35 am
মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় , :
পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের হেল্থ প্রোভাইডাররা সকাল ৮ টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা মানছেন না এমন কি দায়িত্বরত চিকিৎসকও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত বসেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ক্লিনিকগুলোর পরিবেশ অপরিছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর।
সেবাগ্রহীতারা জানান, কমিনিটি ক্লিনিকের চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রামীন সাধারন মানুষ। তারা বাধ্য হয়ে ছুটছে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার বা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল কাসেম জানান, কমিনিটি ক্লিনিকে কর্মরতদের দায়িত্বহীনতার বিষয়ে মনিটরিং চলছে।
জানা যায়, উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে মোট ১৪ টি কমিনিটি ক্লিনিক ও উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে ৩ টি। উক্ত ক্লিনিকগুলো গ্রামাঞ্চলের একমাত্র চিকিৎসাস্থল হলেও সেখান থেকে সেবা গ্রহীতরা কাংখিত চিকিৎসা পাচ্ছে না। বাংলাবান্ধা, তিরনই, তেতুলিয়া, শালবাহান, বুড়াবুড়ি, ভজনপুর, দেবনগরসহ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে ১৯৯৮ সালে কমিনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়। তখন তিন মাসের প্রশিক্ষণে প্রতি ক্লিনিকে তিনজন করে হেলথ প্রোভাইটাডার নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তদারকির অভাবে বর্তমানে ক্লিনিকের কার্যক্রম শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। নিয়মানুযায়ী সপ্তাহে একদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ কর্মরত একজন চিকিৎক ক্লিনিকে গিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়ার কথা থাকলেও যান না কেউ।অপর দিকে বিনামুল্যের ঔষধ অন্যত্র বিক্রি করছেন বলে জানা যায়।
রবিবার (২৮ আগষ্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিরনই হাট ফকির পাড়া এবং তেতুলিয়া সদর রনচন্ডি দায়িত্বশীল কর্মকর্তা- সি এইচ সিপি জয়নাল আবেদিন অফিসে আসলেন সকাল ১০ ঘঠিকায় অথচ তার ৮ ঘটিকার সময় উপস্থিত হওয়ার কথা। জনবল তিনজন থাকার কথা তার মধ্যে এইচ এ রুমালায়লা, এফ ডাবলু এ পারভিন অফিসে নেই। এমন চিত্র প্রায় সব ক্লিনিকে।
রওশনপুরে একটি কমিনিটি ক্লিনিক রয়েছে, সেখানে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার পদটি শুন্য পাওয়া যায়। এ বিষয়ে রওশনপুর গ্রামের সেবা গ্রহীত শহিদুল, মহসিনা জানান, হাতে ব্যথার জন্য এন্টাসিড, সেবা দিয়ে বিদায় করেন।
এসব বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকারের স্বাস্থ্য সেবা সকলের জন্য নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করেছেন সেবা গ্রহীতারা ও সুধীজন।