মহালছড়িতে বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মরণ সভা

(রিপন ওঝা, মহালছড়ি)

খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠন কর্তৃক নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে আজ ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

উক্ত স্মরণসভায় প্রধান বক্তা সহসভাপতি চিন্তাহরণ শর্মা সমাপনী বক্তব্য রাখেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম উদ্দিন সঞ্চালনায় ছিলেন।
এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নন্দন দে, যুবলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল হক মাসুদ, উপজেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক রিপন ওঝা, উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি বাবলু চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

এ সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপন ধর, দপ্তর সম্পাদক অলক সেন, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি মোঃ ফরিদ, উপজেলা শ্রমিক লীগ সহসভাপতি মোঃ বক্কর, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রনজিত দাশ ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতাকর্মী ও ভক্ত সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।।

প্রসঙ্গত যে, ১৯৭১ সালের ১৪ডিসেম্বরে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলশামস, শান্তি কমিটি পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, সংস্কৃতি কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার বরেণ্য ব্যক্তিদের অপহরণ করা হয়। পরে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে তাদের হত্যা করা হয়। এ দু’টি স্থান এখন বধ্যভূমি হিসেবে সংরক্ষিত।
মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে আরও অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে।
১৯৭১ সালের ১৫ডিসেম্বর তৎকালীন মহকুমা ও বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলা হানাদারমুক্ত হয়। মহালছড়ি মুক্ত হয় ১৭ ডিসেম্বর।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *