আনোয়ার হোসেন স্বরূপকাঠি //
স্বরূপকাঠির উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানায় সুপারি পাড়াকে কেন্দ্র করে দুই সহোদর ভাইয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে আহত হয়েছেন ২ জন। আহতদের উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার বেলা দুইটার দিকে কুড়িয়ানার শিকদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ধীরেন্দ্রনাথ সিকদার এর ছেলে বিশ্বজিৎ সিকদার, তার স্ত্রী লক্ষি সিকদার,
তথ্য সূত্রে জানা যায়, কালা কৃষ্ণ সিকদার, ধীরেন্দ্র নাথ সিকদার, এবং তাদের চাচাতো ভাই, কিশোর সিকদার, বিশ্বজিৎ সিকদার, পঙ্কজ সিকদারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বেরমহলের একটি পরিবারের ক্রয়করা জমি নিয়ে মামলা চলমান ছিলো। জানা যায় তারা পাঁচ শতাংশের স্থলে নয় শতাংশ জমির দলিল করে নিয়ে যায় তখন। মহামান্য আদালত সিকদার পরিবারের পক্ষে মামলার রায় দেয়। এবং সেই জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ঐ পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলমান রয়েছে। তারই সূত্রধরে গতকালকে সুপারি পাড়া নিয়ে ঘটনা ঘটে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী জানান, লক্ষি সিকদার সুপারি পাড়তে গেলে পঙ্কজ সিকদার প্রথমে গালাগালি করে পরে একটি লাঠি দিয়ে মাথায় বাড়ি দেয় এবং বিশ্বজিৎ সিকদারকেও মেরে রক্তাক্ত করে।
লক্ষি সিকদার জানান,আমি আমাদের বাগানের সুপারি পাড়তে গিয়েছিলাম তখন পঙ্কজ সিকদার প্রথমে গালিগালাজ শুরু করে পরে একটি কোদালের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং পঙ্কজ সিকদার এর ছেলে পলাশ পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে আমি সাথে সাথে মাটিতে পড়ে যাই। আমার মাথা কেটে যায় সেখানে তিনটি সেলাই লাগে। এর পর ছেলের বাবা এগিয়ে আসলে তাকেও বাবা ছেলে মিলে মেরে রক্তাক্ত করে। সেও এখন হাসপাতালে ভর্তি আছে।
বিশ্বজিৎ সিকদার বলেন,আমার স্ত্রী লোক দিয়ে গাছের সুপারি পাড়তে ছিলো। আমি স্নান করে ভাত খেতে যাবো, এমন সময় পঙ্কজ সিকদার সুপারি পাড়তে বাঁধা দেয়। তখন আমার ভাই পঙ্কজ সিকদার কোদালের বাট দিয়ে আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করলে মাথা কেটে যায়। আমি বাঁধা দিতে গেলে আমার ভাই পঙ্কজ সিকদার এবং ভাতিজা পলাশ সিকদার আমাকে মারে।তাতে আমার মাথায়, পিঠে কয়েকটি যায়গায় কেটে যায়।
এ বিষয়ে পঙ্কজ সিকদার বলেন,ঐ যায়গা নিয়ে মামলা চলছে। আমি সুপারি পাড়তে নিষেধ করি কিন্তু আমাকে গালাগালি করে এবং বিশ্বজিৎ লাঠি দিয়ে আমার মাথায় বাড়ি দিতে গেলে, আমি পাশে সড়ে যাই তখন ঐ লাঠির বাড়ি গিয়ে লক্ষি সিকদার এর মাথায় পড়ে। আমার ভাই বিশ্বজিৎ এর বক্তব্য সত্যি না। আমরা মারিনায় বরং ওরা আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে তাকে ডাক্তার দেখিয়ে বাসায় নিয়ে এসেছি।
এ বিষয় নেছারাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা জানিয়েছেন ভুক্ত ভোগী পরিবার।
আনোয়ার হোসেন ।

Leave a Reply