December 26, 2024, 12:07 pm
দিনাজপুর প্রতিনিধি – দিনাজপুর বীরগঞ্জের সিংড়া জাতীয় উদ্যান থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই যুবক আদালতে স্বীকারাক্তি জবাববন্দি প্রদান করেছেন।
সরাসরি কিলিং মিশনে জড়িত গ্রেফতার যুবকের নাম হল শিশির চন্দ্র রায় (১৯) সে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার যতরঘু গ্রামের সাগর চন্দ্র রায়ের ছেলে। অপরজন রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (২২) সে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে।
২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ খোদাদাদ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ সুব্রত সরকার ও মামলা তদন্তকারী অফিসার ওসি তদন্ত মোঃ মইনুল ইসলাম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরোও বলেন গত ২৩ আগষ্ট বিভিন্ন ডিভাইস ব্যবহার করে খানসামার পাকেরহাট এলাকা থেকে উক্ত দুই যুবককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার দুই যুবককে আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদে তারা সরাসরি ঐ খুনের সাথে জড়িত বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত দুই যুবকের বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরোও বলেন, অটোচালক অবিনাশকে হত্যার পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই দিয়েছে শিশির ও রাশেদ। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিম অবিনাশ রায় গত ১০ আগষ্ট সকালে গ্রেফতারকৃত যুবক শিশির ভিকটিম অবিনাশের অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে নীলফামারীর বরুয়া থেকে খানসামার পাকের হাট আসে, পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অপর যুবক রাশেদকে পাকেরহাট থেকে অটোরিকশায় উঠিয়ে নেয়। এরপর তারা অটোরিকশা যোগে তিন জন বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানে যায়। সেখানে উদ্যানের ভিতরের রাস্তায় অটো রেখে জঙ্গলের গভীরে গিয়ে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অবিনাশের গলায় রশি পেচিয়ে চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে। লাশ জঙ্গলে ফেলে অটো নিয়ে চিরিরবন্দরের রানিরবন্দর গিয়ে অটোরিকশাটি বিক্রি করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী রানিরবন্দর হতে অটোটি উদ্ধার করা হয়। শিশির ও রাশেদ ৫৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবাববন্দি প্রদান করেছে। পরে তাদেরকে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখ , গত ১৫ই আগষ্ট উপজেলার সিংড়া জাতীয় উদ্যান থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার পর বিকালে ভিকটিমের পরিবার এসে পরিধেয় বস্ত্র দেখে ভিকটিমের বড় ভাই উক্ত লাশ তার ছোট ভাই অবিনাশ রায়ের লাশ বলে সনাক্ত করে। ভিকটিম অবিনাশ রায় অটো চালক ছিল বলেও দাবি করেন তার বড় ভাই।
মোঃ নাজমুল ইসলাম (মিলন)
দিনাজপুর প্রতিনিধি।