May 2, 2024, 8:31 pm
মো:বাবুল হোসেন পঞ্চগড় ;
নাতিকে বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিতে সমঝোতা হয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা দিয়েছেন এক ব্যক্তি ঘটনাটি পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায়।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাঠের সব জমি তাদের দাবি করলেও ওই ব্যক্তির বাঁশের বেড়া দেওয়া অংশটুকু তাদের এদিকে মাঠে বেরা দেওয়ায় দৈনিক সমাবেশ ও খেলাধুলা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ঘটনার কয়েক দিন পেরিয়ে গেল বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি এতে শিক্ষার পরিবেশগত হওয়ার আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলা বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠএকটি। মাঠের পশ্চিমে প্রাথমিক আর পূর্বে মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
মাধ্যমিক বিদ্যালয় অফিস সহায়ক পদে নিজের নাতি নিশাতকে নিয়োগ দিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সম্মত না হওয়ায গত ৮ আগস্ট নিজের দাবী করে ১৩ শতক জমি দখল করে নিয়েছে এলাকার দবির উদ্দিন এবং উক্ত জমির উপরে একটি বাটোয়ারা মামলা করেছেন আদালতে।
তার দাবি ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তার নাতিকে নিয়োগ না দিয়ে বেশি টাকা নিয়ে অন্য প্রার্থীকে নিয়োগের চেষ্টা করেছে। টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করছেন প্রধান শিক্ষক তাই তারা এই ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ স্কুলে বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছেন লিখিত।
নিয়োগ নিয়ে মাঠ দখলে পরিস্থিতির প্রতিষ্ঠানদুটি প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন বহু পুরনো এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুটি জমি রয়েছে।
অথচ দবির উদ্দিন ও তার ছেলে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে তাদের দাবি করেছেন।
এদিকে দবির উদ্দিন বলেন এই বিদ্যালয়ের ছুটির জন্য জমি দিয়েছি আমরা ১৩ শতক জমি বিদ্যালয় দখলে ছিল আমরা বারবার বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু উনারা শোনেননি। সম্প্রতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক পদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আমার নাতি নিশাত আবেদন করে তাকে নেওয়ার বিপরীতে তারা বিদ্যালয় জমির বিষয়টি সমাধান করে দিবে বলে জানান জমির পাশাপাশি ৫ লাখ টাকা প্রধান শিক্ষককে দেই কিন্তু প্রধান শিক্ষক এখন টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন এবং শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির কাছে ১০ লাখ টাকা নিয়ে আমার নাতিকে নেবে না বলে জানিয়ে দেয়। আমাদেরকে কথা দিয়ে কথা রাখেন নি প্রধান শিক্ষক আমাদের জমি আমরা দখলে নিয়েছে। দবির উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন কবির বলেন এখানে নিয়োগ বাণিজ্য চলছে আমরা জমিদাতা আমার ছেলে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা আমার ছেলেকে নিবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সরকার দলীয় লোক ছাড়া নিতে পারবে না তাই আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি।
মানিকপীর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এখনো নিয়োগ পরীক্ষায় হয়নি তারা টাকা দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করেছে নিয়োগের বিষয়টি আলাদা জমি দখলের বিষয়টি আলাদা তারা আদালতে মামলা করেছেন বাটোয়ারা আদালতের রায় না আসার আগেই জমি দখল করল কেন তারা আমরা বিষয়টি মৌখিকভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছি তবে খুব শীঘ্রই লিখিত অভিযোগ দিব। মাঠ দখলে জড়িতদের বিচার দাবী সহ দখলমুক্ত করার জন্য প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।
পঞ্চগড় বোদা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সোলেমান আলী বলেন জমি সংক্রান্ত বিষয়ে ভালো ভাবে কাগজপত্র না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না আমরা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব।