ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের তারাকান্দা  উপজেলার তিলাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলে অংশগ্রহণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খাবার খেয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত।  
মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বেলা দুইটার দিকে উপজেলার তিলাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান। বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালু করার পরপরই শিক্ষার্থীদের সাথে দুপুরের খাবার খেয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত। আরও ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট ফজলুল হক, শিক্ষা অফিসার জিবন আরা বেগম।
এসময় জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান বলেন,শিক্ষার মানোন্নয়নে স্কুল ফিডিং নীতিমালার আওতায় শিশুদের স্কুলমুখী করতে সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পর মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর মিড-ডে মিল চালু করেছে। এরই অংশ হিসেবে তারাকান্দা উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক এসময় আরো বলেন, আমাদের সন্তানদের পুষ্টি ও শিক্ষার বিষয়ে নজর দিতে হবে। তারা মেধা বিকাশের সুযোগ পেলেই দেশকে ঠিকভাবে এগিয়ে নিতে পারবো। শিক্ষার্থীদের পরিপূর্ণ বিকাশে পুষ্টির যেন অভাব না হয়। তারা যেন সারাদিন বিদ্যালয়ে অভুক্ত না থাকে, সেই চিন্তা থেকে মিড ডে মিল চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো যেসব বিদ্যালয় বাকি আছে, অচিরেই সেগুলোতেও মিড ডে মিল শুরু হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি সবার বড় ভূমিকা রয়েছে।
এই কার্যক্রম চালু করায় জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়া, প্রতিটি বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল স্বচ্ছতার সঙ্গে পালনের নির্দেশনা দেন তিনি। তিনি প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে সততা স্টোর চালু নিশ্চিত করার জন্য আহবান জানান।
এর আগে তিনি তারাকান্দা উপজেলার তিলাটিয়া ও মেছেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমএমসি কমিটির সভায় অংশগ্রহণ করেন।
তিলাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল কর্মসূচির অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামীমা আক্তার। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ফজলুল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জীবন নাহার,এসএমসি কমিটির সভাপতিসহ অভিভাবকগণসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।

Leave a Reply