কুমিল্লা ইপিজেড রাস্তায় ফেলছে ময়লা-আবর্জনা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি

মোঃতরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা থেকে,

কুমিল্লা নগরীর ইপিজেড এলাকায় রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো এলাকায়, অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর এমন ঘটনার তথ্য নগরীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছামছুল আলম জানার পরও দেখছি-দেখব বলেও সমস্যার সমাধান দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া উঠেছে সাংবাদিক দের মাধ্যমে।

আর এই দুর্গন্ধময় ময়লার কারনে এলাকাবাসী এখন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছে। এখানে গরু, কাক আর কুকুর খাবারের সন্ধান করায় ময়লা আরও ছড়িয়ে পড়ছে। পথচারীরা ওই এলাকা পার হচ্ছেন নাকে হাত দিয়ে। দিনের পর দিন চলছে এ অবস্থা।

জানা যায়, এই ময়লার স্তুপের জায়গাটি আগে পরিষ্কার করে আশেপাশে দড়ি দিয়ে গাছপালা লাগানো থাকলেও এখন আর সেই দৃশ্য নেই। এই জায়গা রক্ষণাবেক্ষণ বা সংস্কার না করায় এখন এই জায়গাটিতে সকলে ময়লা ফেলছেন। এই ময়লা ফেলার কারনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীর। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ময়লার কারণে সাধারণ জনগন।

নানা রোগবালাই ছড়িয়ের আশঙ্কায় ওই এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন স্বাস্থ্যঝুঁকি।

কলেজ শিক্ষক জাফর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নগরীতে এত কোটি টাকার উন্নয়ন হচ্ছে অথচ নগরীতে এভাবে ময়লা জমিয়ে থাকে, আর পরিষ্কার বা রক্ষণাবেক্ষণ না করায় আবর্জনার পাহাড় জমে আছে। জমে থাকা বিশাল ময়লার পাহাড়ের কারণে খুব বিশ্রী দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দুর্গন্ধের কারণে সকলের কষ্ট হচ্ছে। মাঝে-মধ্যে মনে হয়- ভেতর থেকে নাড়ীভুঁড়ি বেড়িয়ে আসবে। এরকম অসহ্য পরিস্থিতি থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাবো আমার জানা নেই।’

ইপিজেড এ কর্মরত সোবহান জানান, নতুন মেয়র আসার পর থেকে কাউকে পরিষ্কার করতে দেখি নাই। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ভাবা উচিত। আমরা যারা ইপিজেড এ যাই সবাই খুবই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছি। এসব ময়লার ভাগাড় দ্রুত পরিষ্কার করা উচিত।’

বাচ্চাকে স্কুলে নেওয়ার পথে নাজনীন বলেন, এ সড়ক দিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে শিশু-কিশোররা স্কুল, মাদরাসা যায়। তাদেরসহ ওই এলাকার লোকজনের কথা চিন্তা করে এবং মানুষের স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিতে দ্রুত এসব ময়লা পরিষ্কার করা উচিত।

১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিউর রহমান রাজিব বলেন, এখানে ময়লা ইপিজেডের লোকেরাও ফেলে, এমন প্রমাণ আমার কাছে আছে। এর পাশাপাশি সেনাবাহিনী যাদের ইজারা দিয়েছে বাজার করতে তারাও এখানে ময়লা ফেলে। পরে বিষয়টি মেয়র মহোদয়কে বললে তিনি এখানে একটি ময়লা রাখার ঝুড়ি দিবেন বলেছে।

ময়লার প্রসঙ্গ নিয়ে কুমিল্লা সিটিকর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ছামছুল আলমের সাথে কথা বলতে গেলেই তিনি তারাহুরো করে কল কেটে দেন। পরে ক্ষুদে বার্তা দেখেও তিনি তার কোন উত্তর দেয়নি।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত বলেন, এই ময়লার সম্পর্কে নির্বাহী জানার পরও কেন পদক্ষেপ নেয়নি এটা আমার জানা নেই। তবে এসব দেখার বিষয় কাউন্সিলরদের। আমি বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *