যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ড. জুলকারনাইন; সম্বর্ধনার ব্যাপক প্রস্তুতি

মহিউদ্দীন চৌধুরী:চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও
পটিয়া নজির আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ,যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী টেক্সাস বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, অনুজীব বিজ্ঞানী ড. জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন আগামী ৪ঠা নভেম্বর এমিরেটস এয়ার লাইন্সের বিমানে যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে আসছেন। তিনি দুপুর ১২:৩০ টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরে এসে পৌঁছবেন বলে নজীর আহমেদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের অর্থ সচিব নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এই আওয়ামী লীগ নেতা বিমান বন্দরে এসে পৌঁছলে এই প্রবাসী নেতাকে সর্ব সাধারণের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হবে। এই লক্ষ্যে পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভায় ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া তার প্রতিষ্ঠিত মানবিক সংগঠন নজির আহমদ দোভাষ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ও বিপুল সম্বর্ধনা দেয়া হবে।
সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, ও মহিলা লীগে এবং জনপ্রতিনিধিরা যোগদান করবেন।

সূত্র জানিয়েছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলের হাইকমান্ডের গ্রীন সিগন্যাল পেযে তফসিল ঘোষনার আগেই তিনি দেশে আসছেন।বিগত দিনে দল ও এলাকার মানুষের প্রতি তার মানবিক সাহায্য দলের নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এই কারনে তাকে দক্ষিণ জেলা
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলির
সদস্য করা হয়। তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ডালিম জানিয়েছেন, ড. জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন
টেক্সাস বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ছাড়াও অল ইউরোপ শাখার একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন।
উল্লেখ্য, ড. জুলকারনাইন চৌধুরী জীবন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ছাড়াও এলাকাবাসীর অনুরোধে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নিজ সাধ্যমত জনগনের সেবায় নিয়োজিত আছি। জনপ্রতিনিধি হতে পারলে জনগনকে আরো ব্যাপক আকারে সহযোগিতা ছাড়াও এলাকার উন্নয়ন করতে পারবো।

তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো বিজয়ী করতে হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দলের সভানেত্রী তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি পটিয়া আসনটি তাকে বিপুল ভোটে উপহার দিতে পারবেন। তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীরা চায় তরুন নেতৃত্ব। তারা চায় পরিবর্তন। দলের মনোনয়ন না পেলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে, প্রধানমন্ত্রীর একজন ক্ষুদ্র দলীয় কর্মী হিসেবে, সরকারের একজন উন্নয়নের সারথী হিসেবে তিনি দলের প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবেন।
উল্লেখ্য ড. জুলকারনাইন পারিবারিক ভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বড় হয়েছেন। ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। বিগত ৫ বছর প্রবাসে থেকেও পটিয়ার মানুষের কাছে নিজকে যেভাবে মেলে ধরেছেন তাতে তার প্রতি মানুষের ভালবাসা শতগুন বেড়েছে।৷৷
কোভিড-১৯ কালে পটিয়ার মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য , ঔষধ ও অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে যে মানবিকতা তিনি প্রদর্শণ করেছেন পটিয়ার ইতিহাসে তা অমলিন হয়ে থাকবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *