March 14, 2025, 8:28 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
চট্টগ্রামের বন্দর-ইপিজেড পতেঙ্গাস্থ মূদ্রণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল শাজাহানপুরে হ-ত্যার হুম-কি দিয়ে প্রতিবন্ধী নারীকে ধ-র্ষণ সেনবাগের ৭নং মো:পুর ইউনিয়ন জামায়াত ইসলামীর উদ্দ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন সেনাপ্রধানের সাথে চীনের রাষ্ট্রদূত এর সৌজন্য সাক্ষাৎ ধ-র্ষণে শিকার আছিয়ার মৃ-ত্যুতে বানেশ্বরে মশাল মিছিল; আধা ঘন্টা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ আছিয়ার মৃত্যুতে বানেশ্বরে গায়েবানা জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত মাইক্রোবাস ও পিকাপের মুখোমুখি সংঘর্ষ; অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন পুঠিয়া বিএনপির আহ্বায়ক মুন্সীগঞ্জে ইসি কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন মুন্সীগঞ্জে ইসলমী আন্দোলন বাংলাদেশ মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন
রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের তাল গাছে গাছে ঝুলছে বাবুই পাখির বাসা

রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের তাল গাছে গাছে ঝুলছে বাবুই পাখির বাসা

রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলীঃ রাজশাহীর প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকায়,, বিশেষ করে বরেন্দ্র জনপদ এলাকায় খাজুর, তাল ও নারিকেল গাছে গাছে ঝুলছে বাবুই পাখির বাসা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় আগের মতো পর্যাপ্ত তালগাছ না থাকায় নারিকেল গাছে বাবুই পাখি বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। বিশেষ করে জেলার গোদাগাড়ী, তানোর, কাঁকনহাট, মোহনপুর এলাকায় তালগাছ ও নারিকেল গাছে বাবুই পাখির বাসা দেখা যায়।
“বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই, কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই, আমি থাকি মহা সুখে অট্টলিকা পরে, তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি ঝড়ে। বাবুই হাসিয়া কহে, সন্দেহ কি তাই? কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।” বাবুই পাখির সেই দৃষ্টিনন্দন বাসা গ্রামে-গঞ্জের উঁচু তালগাছে দেখা যেত। কিন্তু সময়ের বিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই বাবুই পাখির বাসা।
শুধু বাবুই পাখিই নয়, প্রায় সব ধরনের পাখিই আজ হারিয়ে যাচ্ছে। আর হারিয়ে যাওয়ার এই দুঃসময়েও বাবুই পাখির কলরবে মুখরিত হয়ে উঠছে জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রত্যন্ত মাঠে মাঠে। এই এলাকায় যেসব অতিথিরা আসেন, তারা বাবুই পাখি আর প্রকৃতির এই সৌন্দর্য় উপভোগ করেন।
গোদাগাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজশাহীর সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ শাহাদু্ল হক জানান, আলমাস এক সময় এলাকায় গাছ-গাছালিতে পাখিদের কলরবে এই এলাকা মুখরিত থাকতো। আগের সেই কলরব এখন নেই বললেই চলে। তবে কিছু তাল গাছে বাবুই পাখির অসংখ্য বাসা রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে তারা বাসা তৈরি করে বসবাস কর আসছে। তালগাছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ও বিচরণ খুবই আনন্দ দেয়।

অবাধে বৃক্ষ নিধন, জলবায়ুর পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে বাবুই পাখির বাসা এখন আর তেমন একটা চোখে পড়ে না। এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা আগের চেয়ে অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে ফলে পাখি শিকারিদের দৌরাত্ম অনেকটাই কমে গেছে। এখন বড় বড় তালগাছের অভাবে এই পাখিগুলো খেজুর ও নারিকেল গাছে বাসা বাঁধছে।

পাখিদের উপযুক্ত পরিবেশ ও বেশি বেশি তাল গাছ রোপণ করা হলে অনায়েসে দেখা মিলবে বিভিন্ন প্রজাতির বাবুই পাখি। গ্রামাঞ্চলে এই পাখি ‘বাবুই’পাখি নামে পরিচিত। বাবুই পাখি বেশ দৃষ্টি নন্দন পাখি। এদের বাসার গঠন বেশ জটিল।
বাবুই পাখি খড়, কচিপাতা ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে বাসা তৈরি করে। তাই বাবুই পাখিকে অনেকেই শিল্পী বলে ডাকেন। এরা দলবদ্ধ আর কলোনি করে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। বাংলাদেশে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বাবুই দেখা যায়। এদের মধ্যে দেশি বাবুই, দাগি বাবুই ও বাংলা বাবুই। বাসা দেখতে উল্টানো কলসির মতো। বাসা বানানোর জন্য এই পাখি খুবই পরিশ্রম করে। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ ছাড়ায়। পরে সেই আবরণ যত্ন করে পেট দিয়ে ঘষে গোলাকৃতিটি মসৃণ করে। বাসায় শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। ডিম পাড়ার সময় একদিক বন্ধ করে দিয়ে জায়গা তৈরি করে। অন্যদিকটি লম্বা করে প্রস্থান ও প্রবেশ পথ তৈরি করে। বাবুই পাখি সাধারণত উঁচু তালগাছের পাতা, নারিকেল গাছ, খেজুর গাছ ও কড়ই গাছে বাসা বাঁধে। তাদের শিল্প চিন্তা খুবই নিপুণ। প্রবল ঝড়-তুফানও বাসার কোনো ক্ষতিসাধন করতে পারে না।
এরা সাধারণত বিভিন্ন ধরনের বীজ, ধান, পোকা, খেয়ে জীবনধারণ করে। মে থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এদের প্রজননকাল। স্ত্রী বাবুই দুই থেকে চারটি ডিম পাড়ে। সেই ডিম ফুঁটতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগে। বাবুই ছানা এক মাসেই উড়তে শিখে বলে জানা যায়।

মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD