ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপগুলোতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশের পাশাপাশি থাকবে আনসার সদস্যরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা কমিটির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দের ব্যক্তিগত উদ্যোগেও নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
সুত্র মতে এবার কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকায় ময়মনসিংহ মহানগর ও সদর উপজেলা ১২৫
পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গাপূজাকে ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। পোশাকদারী পুলিশের পাশাপাশি থাকবে সাদা পোশাকে পুলিশও। বড় পূজামণ্ডপগুলোতে থাকবে সিসি ক্যামেরা। একই সাথে পুজায় যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে থাকবে তাদের জন্যও কোতোয়ালি মডেল থানার পক্ষ থেকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
কোতোয়ালি মডেল থানা সুত্রে জানা গেছে- পুঁজায় যারা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করে তাদের চেনা যায়না, স্বেচ্ছাসেবক কর্নীরা কি আছে কি না তাও বুঝা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এবার কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তার মেধায় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি থানা এলাকায় ১২৫ টি পূজা মন্ডবের নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের ( প্রতিটিতে ৫ জন) মাঝে স্বেচ্ছাসেবকদের পোশাক এবং আইনশৃংখলা নিরাপত্তার ও কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাৎক্ষণিক প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য ৯৯৯ ও বিট অফিসার সহ থানা পুলিশের নাম্বার সংযুক্ত ব্যানার প্রতিটি মণ্ডপে বিরতণ করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার সু-যোগ্য অফিসার ইনচার্জ শাহ-কামাল আকন্দ পিপিএম বার। এ সময় কোতোয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন মোঃ মারফত আলী উপস্থিত ছিলেন।
ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, দুর্গাপূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার স্যারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
ওসি জানান-প্রশাসন এ ব্যাপারে আমাদের সর্বাত্তক সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য পুলিশের পাশাপাশি তিন স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন পুরো উপজেলায় নজরদারি করবে।
এ সময় ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রেখে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী। সব ধর্মের সহাবস্থানে সরকার কাজ করছে। শান্তিপূর্ণভাবে এখানে সবাই ধর্ম পালন করবেন। আমরা সবাই এ আনন্দ ভাগাভাগি করে উপভোগ করব। কোনো অশুভ শক্তি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারবে না। যাতে ওই শক্তি সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকারও আহবান জানান তিনি ।
Leave a Reply