এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট:বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ৫২ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে কার্যক্রম চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। একাধিক কর্মকর্তার পদ রয়েছে শূন্য। জনবল সংকট থাকায় ক্লিনিকগুলোতে নেই তদারকি। ইউনিয়ন পর্যায়ে একাধিক ক্লিনিক সপ্তাহে থাকছে ২/৩দিন বন্ধ। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে হচ্ছে বঞ্চিত। মোরেলগঞ্জে ৫২ টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৩৭টি পদ শূণ্য
১ জন এইচ আই থাকার কথা। নাই ভারপ্রাপ্ত করা হয়েছে হেমায়েত হোসেনকে। এএইচআই ১৬ জন থাকার কথা আওছে ৩জন। রওশন এরশাদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকা কালে মামলায় পড়ে নিয়োগ বন্ধ। সিএইচসিপি খালি ৪টি।
মোট ৫৪টি কমিউনিটি ক্লনিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জনগনের দ্বারপ্রান্তে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে “শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাচাঁয় প্রাণ” এ ¯্রােগানকে সামনে রেখে বর্তমান সরকারের যুগান্তকারি পদক্ষেপ ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হলে এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫২ টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি ক্লিনিকে ১ জন কমিউনিটি হেলথ্ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচ সিপি), ১জন স্বাস্থ্য সহকারি (এইচএ) ও ১ জন পরিবার পরিকল্পনা সহকারি (এফডবিøউ এ) কর্মরত থাকার কথা থাকলেও একাধিক ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে পরিপূর্ণ থাকলেও অন্য পদগুলোতে রয়েছে একাধিক শূণ্য। এদিকে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তার একাধিক পদে জনবল রয়েছে চরম সংকট।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দপ্তর সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ৫২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে ৪ জনের পদ থাকলেও ৩/৪ বছর ধরে রয়েছে শূন্য, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে ১৩ জনের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৪ জন ৯ পদই শূন্য, স্বাস্থ্যকর্মী ৬৪টি পদের মধ্যে রয়েছে ২৭ জন, এ পদে ৩৭ জনই শূন্য। ২০১৫ সালে স্বাস্থ্যকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষা হলেও এখনও চুড়ান্ত হয়নি। ঝুঁলে রয়েছে আইনি জটিলতা।
এ সর্ম্পকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শর্মী রায় বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মাঠ পর্যায়ে একাধিক কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকায় তদারকির ক্ষেত্রে সাময়ীক কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। জনবল সংকটের বিষয় উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম তারেক সুলতান বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারি পদক্ষেপ। সে ক্ষেত্রে ক্লিনিক বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য সেবা বঞ্চিত রাখা কোন সুযোগ নেই। বন্ধ থাকা ক্লিনিকগুলোরে বিষয় জেলা মাসিক সভায় তোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় সিভিল সার্জনকে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।

Leave a Reply