পরিদর্শনে এসে কৃষকদের বিক্ষোভের মুখে নৌ-সচিব

মোংলা প্রতিনিধি
মোংলা বন্দর কর্তৃক পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু কৃষিজমিতে ফেলার সিদ্ধান্ত’র প্রতিবাদে বিক্ষোভের মুখে বাণীশান্তা পরিদর্শন না করে ফিরে আসলেন নৌপরিহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব মোঃ সায়েমুর রশিদ খান প্রেরিত সফর সূচী অনুযায়ি নৌসচিব মোঃ মোস্তফা কামাল এর ২০ আগস্ট শনিবার মোংলা বন্দর চ্যানেলের ইনারবার ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন করার কথা। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নৌসচিব পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার এলাকা বানীশান্তার গ্রীণ এলপিজি জেটিতে পৌছালে স্থানীয় কৃষকরা আগে থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এক পর্যায়ে নৌসচিব মোঃ মোস্তফা কামালের স্পীড বোট জেটিতে না ভীড়ে ওই স্থান ত্যাগ করে। এবিষয়ে বিক্ষোভরত কৃষাণী বৈশাখী মন্ডলের কাছে চাইলে তিনি জানান বলেন নৌসচিব আসবেন আমরা তাকে স্বাগত জানানোর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু নৌসচিব আসার আগেই বন্দর কর্তৃপক্ষ মিথ্যা এবং ভুল তথ্য দিয়ে জেটি চত্বরে কিছু ফেস্টুন-প্লাকার্ড দিয়ে সাজিয়ে রাখে। আমরা এগুলো সরিয়ে ফেলতে তাদের অনুরোধ করি। কিন্তু তারা সেগুলি না সরানোর কারনে উত্তেজিত কৃষকরা তা সরিয়ে ফেলেন। উত্তেজনা চলাকালে নৌসচিবের স্পীড বোট জেটিতে আসলে তিনি উপরে না উঠে স্থান ত্যাগ করেন বলে আমরা জানতে পারি। বাণীশান্তা পরিদর্শনের বিষয়ে নৌপরিহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্থানীয় এমপি’র দরখাস্তের প্রেক্ষিতে বাণীশান্তা পরিদর্শনে আসি। বাণীশান্তার তিনশো একর জমি বন্দরের হুকুম দখল নেয়া আছে। কাজ করতে আসলে এলাকার মানুষ আপত্তি জানায়। কাগজপত্র দেখে এবিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সুদেব রায় বলেন বাণীশান্তার তিনশো একর তিনফসলি কৃষিজমিতে বালু ফেলতে দেয়া হবেনা। বন্দরের স্বার্থে নদী খনন প্রয়োজন থাকলেও বালু ফেলারও বিকল্প জায়গা আছে। সেখাণে বালু ফেলা হোক।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *