December 21, 2024, 4:46 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদে বড় দিন উপলক্ষে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী ময়মনসিংহের বিদায়ী পুলিশ সুপারকে বিদায় সংবর্ধনা ও নবাগত পুলিশ সুপারকে বরণ হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য “ধানের গোলা” মধুপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পিতাপুত্রের মৃ-ত্যু কালীগঞ্জে ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী জামিনী কান্ত, গ্রেফতার  রাজশাহীর পুঠিয়ায় বাস ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘ-র্ষে নিহ-ত ৩ ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজজামান শিপনের মতবিনিময় বাবুগঞ্জে ন্যায়ের পথে সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ষপূর্তি ও মহান বিজয় দিবস পালিত বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে: হাসান জাফির তুহিন
নেছারাবাদে এল,এম,এফ সনদধারি ক্লিনিক ম্যানেজার সুকদেবের দৌরাত্ম

নেছারাবাদে এল,এম,এফ সনদধারি ক্লিনিক ম্যানেজার সুকদেবের দৌরাত্ম

নেছারাবাদ(পিরোজপুর)প্রতিনিধি:

নেছারাবাদ উপজেলার সরকারি হাসপাতালের কোন নার্স রোগীদের ক্যানোলা পড়াতে পারেনা। নেছারাবাদ উপজেলার মেডিপ্রাইম ক্লিনিকের ম্যানেজার পদে চাকরি করা সুকদেব মন্ডল নামে এক কথিত চিকিৎসক এ দাবি করেছেন। তিনি আরো দাবি করে বলেন, কেবল নার্সই নয়; উপজেলা হাসপাতালে সদ্য এম,বি,এস পাশ করে আসা একজন ডাক্তারও যা পারেনা, তিনি তা পারেন।

সম্প্রতি ওই ক্লিনিকে উপজেলার আরামকাঠি থেকে আসা মালিহা নামে এক গৃহবধূ প্রসব বেদনা নিয়ে ক্লিনিকে ভর্তি হন। ক্লিনিকের ম্যানেজার পদে চাকরি করা সুকদেবের লেখা ঔষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের মুখে তিনি কথাগুলো বলেন।

জানাযায় গত ১৫ সেপ্টম্বর উপজেলার আরামকাঠি থেকে প্রসববেদনা নিয়ে মেডিপ্রাইম ক্লিনিকে ভর্তি হন মালিহা নামে এক গৃহবধূ। ওইদিন কথিত চিকিৎসক সুকদেব মন্ডল তাদের ক্লিনিকে অনিয়মিত এক ডাক্তারের রেফারেন্স দিয়ে রোগীকে সিট দেন। পরে রোগীর প্রসব ব্যাথা তীব্র হলে তিনি নেছারাবাদ হাসপাতালের এক জনৈক এক নার্স ডাকেন। নার্স ও তিনি(সুকদেব মন্ডল) মিলে ওই রোগীর ডেলিভারি করান। পরে ওই রোগীকে নিজেই আবার ক্যাথালক পড়িয়ে বেডে দেন। ওই মায়ের বুকে পর্যাপ্ত দুধের জন্য সুকদেব মন্ডল তাকে একটি ইউয়ানি হারবাল ঔষধ প্যাডে লিখে দেন। ঔষধ সেবনের একদিনের মধ্য ওই মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন।

নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতাল থেকে মাত্র একশত ফুট ব্যবধানে অবস্থিত ওই ক্লিনিকে সল্প শিক্ষিত ওই কথিত চিকিৎসক সুকদেব দিনের পর দিন চালিয়ে আসছেন এসব কর্মকান্ড।

নাম না প্রকাশ শর্তে একাধিক ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালি ওই কথিত চিকিৎসক সুকদেব ওই ক্লিনিকের তিনিই সর্বেসর্বা। নামমাত্র ধার করে ডাক্তার এনে ক্লিনিকের আয়াদের সাথে নিয়ে করে থাকেন সার্জনের কাজ। যে সার্জন টিমের পুরো নেতৃত্ব থাকে তার। সিজার শেষে কোন প্রশিক্ষিত নার্স না দিয়ে তিনিই আবার ক্যাথেটার পড়ান গর্ভপাত করা ভর্তি মায়েদের। এতে অনেক সময় ভিভ্রান্তিতে পড়েন রোগীর স্বজনরা।

মাত্র এস,এস,সি পাশ করে কিভাবে সিজারিয়ান অপারেশন করান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এ কাজে বিশ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। আমি ডাক্তার অরুন মন্ডল সহ বড় বড় ডাক্তারের সাথে সার্জন টিমে কাজ করি। এ কাজে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আপনার কোন সনদ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এস,এস,সি পাশ করেছি। আমার ডি,এম,এফ এবং এল,এম,এফ সনদ রয়েছে।

নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালের প:প: স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: ফিরোজ কিবরিয়া বলেন, আমার হাসপাতালের সব নার্সেরা সব কাজই করতে পারে। ওই প্রাইভেট ক্লিনিকের সুকদেব যা বলেছে সবই মিথ্যা। আমি তার কাছে সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে বদনাম করার বিষয়ে জানতে চাইব।

আনোয়ার হোসেন
নেছারাবাদ,পিরোজপুর।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD