বেনাপোল প্রতিনিধি : যশোরের শার্শার আমলাই গ্রামের ৩ যুবক এক গৃহবধুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সোনার চেইন ও কানের দুল ছিনতাই করার পাশাপাশি অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলো।
জানাযায়, শার্শার আমলাই গ্রামের কওছার আলীর ছেলে রাসেল হোসেন (২৩), মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এক গৃহবধুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার বিকালে ঐ গৃহবধুকে সে আমলাই বাজারে আসতে বলে।৷ কথামতো ঐ গৃহবধূ আমলাই বাজারে আসলে রাসেল তার সহযোগী একই গ্রামের জামাল ঢালির ছেলে জনি হোসেন (২৪) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৪) ঐ গৃহবধুকে নিয়ে দুটি মোটরসাইকেলে করে সোনাতনকাটি গ্রামের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নামিয়ে তার গলা থেকে সোনার চেইন ও কানের দুল জোর করে খুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় মেয়েটির চিৎকারে পথচারীরা এসে তাকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত ৩ যুবককে গণধোলাই দেয়। এসময় তারা ঐ গৃহবধুকে অপহরণ পুর্বক মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে। পরে ৩ যুবককে সোনাতনকাটি গ্রামের কামরুল মেম্বর এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে রাত নটার দিকে বসতপুর গ্রামের মেম্বর আব্দুল মালেক ও আমলাই গ্রামের মেম্বর সাইফুল ইসলাম সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা সোনাতনকাটি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় মাঠে শালিশে বসেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সোনাতনকাটি গ্রামের কামরুল মেম্বর বলেন টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমি জানিনা, আমি এসময় বেনাপোলে ছিলাম। বিষয়টি পুলিশের দায়িত্বে দেয়া হয়েছিলো।৷ বসতপুর গ্রামের মালেক মেম্বরের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন, তবে তিনি টাকার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার এক আত্মীয় ঐ ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে, তাই আমি তাকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়েছিলাম।৷ আমলাই গ্রামের মেম্বর সাইফুল ইসলাম বলেন আমি রাত নটার পরে বিচার স্থল থেকে রাগ করে চলে এসেছিলাম। এব্যাপারে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আবু সাইদ বলেন, মেয়ে পক্ষ কোনো অভিযোগ করেননি, তাই আমি স্থানীয় মেম্বরদের দায়িত্বে দিয়ে চলে আসি। টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমি জানিনা, তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

Leave a Reply