September 18, 2025, 8:16 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সবার স-হযোগিতায় শা-ন্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন করা হবে- ইউএনও আরিফুল ইসলাম প্রিন্স ময়মনসিংহে ডিসির বিরু-দ্ধে অপপ্রচারের প্র-তিবাদ শিক্ষা অফিসারের ছিলারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজে উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষক পরিষদ নির্বাচন স-ম্পন্ন ভাবখালী ইউনিয়নের সফল ও জনবান্ধব প্রশাসক আসমা উল হুসনা ফাতেমা জান্নাতুল ফেরদৌস সুজানগরে কৃষক-কৃষাণীদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বি-তরণ কার্যক্রমের উ-দ্বোধন নড়াইলের রূপগঞ্জ বাজারে লক্ষ্মী ভাণ্ডরে সেনা অ-ভিযান – দুইজন গ্রে-প্তার ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের প্রয়াত সদস্যদের রুহের মা-গফেরাত কাম-নায় দোয়ার মাহফিল বানারীপাড়ায় শারদীয় দূর্গ উৎসব উৎযা-পন উপলক্ষে প্রস্তু-তি সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহী কেন্দ্রীয় কা-রাগারে মা-দকবিরোধী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত মোরেলগঞ্জ লতিফিয়া কামিল মাদ্রাসায় অভিভাবক সদস্য নির্বাচন সম্পন্ন: বিপুল ভো-টে জয়ী মো. রেজাউল করিম
নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নকশায় ত্রুটির কারণে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে ৬৫ কোটি টাকা

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নকশায় ত্রুটির কারণে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে ৬৫ কোটি টাকা

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে:

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় নবগঙ্গা নদীর ওপর নির্মিতব্য সেতুর নকশায় ত্রুটির কারণে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে ৬৫ কোটি টাকা থেকে দাঁড়িয়েছে ১৩৬ কোটি টাকা। এ সেতুর নির্মাণ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। কাজ ২০১৯ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন ষষ্ঠবারের মতো ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে সময়। উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে জানান, (গত ৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সেতু প্রকল্পের নকশা প্রণয়নে দুর্বলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নকশার দুর্বলতার কারণে সেতুর নিচ দিয়ে নৌ চলাচল বিঘ্নিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে সেতুটির জন্য নতুন করে আরও ৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করে একনেক।
কালিয়া উপজেলায় প্রায় ২৩১টি গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। বিশেষ করে জেলা সদরের সঙ্গে কালিয়া উপজেলার সরাসরি যোগাযোগের বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। কালিয়া উপজেলাকে নড়াইল জেলা সদর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে উপজেলার বারইপাড়া এলাকার এই নবগঙ্গা নদী। জেলা সদরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলার মানুষদের। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বারইপাড়া ঘাট দিয়ে নদী পার হয়ে অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালে বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করে থাকেন।
স্থানীয়রা জানান, যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় এখানে গড়ে ওঠেনি কোনো শিল্প-কলকারখানা। এলাকায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য শহরে আনতে চরম দুর্ভোগে পড়েন। এছাড়া এলাকায় কোনো সমস্যা হলে পুলিশ যথাসময়ে ঘটনাস্থলে আসতে পারে না, আগুন লাগলে দমকল বাহিনী ও জরুরি রোগী পরিবহনের জন্য অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত পৌঁছাতে পারে না। ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মেসার্স এমডি জামিল ইকবাল অ্যান্ড মো. মইনুদ্দীন বাঁশি জেভি ফার্ম এ সেতুর কার্যাদেশ পায়। ৬৫১.৮৩ মিটার দীর্ঘ এবং ১০.২৫ মিটার প্রস্থের সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬৫ কোটি ৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। কিন্তু ওই বছরের জুনে নকশায় জটিলতা ধরা পড়ায় কাজ কয়েক মাস বন্ধ থাকে।
এ ছাড়া নকশা অনুযায়ী, বর্ষাকালে যদি নদীতে পানির উচ্চতা অতিমাত্রায় বাড়ে তাহলে প্লাবিত হতে পারে সেতুর দুই পাশের পিলার। সে কারণে সেতুর শুরু ও শেষের অংশ অর্থাৎ দুই প্রান্তই তিন মিটার করে উঁচু করা প্রয়োজন। তবে সেতুর মাঝখানের উচ্চতা আগের নকশা অনুযায়ীই হবে। নকশা সংশোধনের প্রস্তাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর প্রায় ছয় মাস পর তা অনুমোদন পেলে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। তবে ২০২০ সালের ২০ জুন ও পরের বছর ৬ সেপ্টেম্বর বালু বোঝাই বাল্কহেডের ধাক্কায় মাঝ নদীতে অবস্থিত সেতুর নির্মাণাধীন ৯ নম্বর পিলার আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হেলে পড়ে।
নড়াইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আশরাফুজ্জামান বলেন, ৯ নম্বর পিলারটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ভেঙে যাওয়ায় এটি না রেখে ৮ ও ১০ নম্বর পিলারের ওপর কংক্রিটের ঢালাই না দিয়ে নতুন টেন্ডারের মাধ্যমে ৮৬ মিটার লম্বা স্টিলের একটি স্প্যান বিদেশ থেকে এনে বসাতে হবে। বর্ষাকালে এই অংশে পানি থেকে সেতুর উচ্চতা থাকবে ২৭ ফুট। এ ছাড়া সেতুর অন্যান্য অংশ দিয়ে ছোট নৌযান চলাচল করবে, সেটা সাইনবোর্ডে লিখে দেওয়া থাকবে। তিনি আরও বলেন, সেতুর পিলারগুলো যাতে নৌযান দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত না হয়, সে জন্য প্রতিটি পিলারের চারদিকে স্টিলের বেষ্টনি দিয়ে তৈরি করা হবে নিরাপত্তা বলয়। এ জন্য স্প্যানের পেছনে ৪০ কোটি টাকা এবং পিলারের নিরাপত্তার জন্য বাকি অর্থ ব্যয় হবে। বাড়তি ৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও নতুন করে টেন্ডার, কার্যাদেশসহ আনুষঙ্গিক কাজ করতে আরও তিন-চার মাস সময় লাগবে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের জুনে সেতুর নির্মাণ শেষ হবে। তবে সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়কসহ বাকি কাজ এ বছরের জুনে সম্পন্ন হয়েছে।
নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি (এমপি) বলেন, আমলাদের অদক্ষতা ও অসচেতনতার কারণে নকশায় ত্রুটি হয়েছে। ফলে সরকারের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হলো। আশার কথা, জটিলতা কেটে গেছে। এখন দ্রুত সেতুর কাজ শেষ করলে লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের পথ উন্মুক্ত হবে।

উজ্জ্বল রায়, জেলা প্রতিনিধি নড়াইল থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD