December 3, 2024, 5:13 pm
বিশেষ প্রতিবেদন। পর্ব ৫।।
বানারীপাড়ায় MTFE এর সিইও দম্পতি আকরাম ও লামিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের মাষ্টার প্লানে নিঃসম্বল হয়েছে প্রায় পাচঁশত পরিবার । অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে বানারীপাড়ায় একমাত্র MTFE এর সিইও দম্পতি আকরাম হোসেন ওরফে আবু সালেক ও তার স্ত্রী লামিয়া আক্তার মিম। আবু সালেক ওরফে আকরাম তার বাড়ি বানারীপাড়ার ৬নং ওয়ার্ডে অবস্থিত। সোজাকথায় বানারীপাড়া বন্দর হাইস্কুল মাঠের দক্ষিন ও পশ্চিম কর্নারে অবস্থিত তার বাড়ি যেখানে রয়েছে তাদের পরিবারের তিনটি আলিশান বাড়ি যার মধ্যে দুটি চার তলা একটি একতলা বিল্ডিং এছাড়াও বাড়ির সামনে রয়েছে মার্কেট যার মধ্যে একটি তারা নতুন তুলেছেন। খবর নিয়ে জানাযায় আবু সালেক ওরফে আকরাম তিনি শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত তিনি বানারীপাড়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের শিবিরের সভাপতি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি শিবির করার বদৌলতে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল চাকুরী পান। তিনি বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল বরিশাল পুরাতন কয়লাঘাট শাখার রিসিপশনে নিয়োজিত আছেন।
অভিযোগসুত্রে জানাগেছে তিনি শিবির নেতা আব্দুর রহমানের সাথে শিবির করার সুত্রে ডেসটিনিও করেছেন। যেখানে তিনি শত পরিবারের সাথে করেছিলেন প্রতারনা। এবার MTFE এর মালিক পক্ষ হাফেজ আব্দুর রহমানের বাম হাতের মধ্য দিয়ে আবু সালেক শুরু করেন MTFE প্রতারনা। আবুল সালেক বা আকরাম বানারীপাড়ায় নামিদামি সিইও এর মধ্যে একজন যে কিনা তার স্ত্রী লামিয়া আক্তার মিমকেও বানিয়ে ছিলেন সিইও। অর্থাৎ বানারীপাড়ায় একমাত্র দম্পতি সিইও বলতে ছিলেন আকরাম ও মিম। মূলত তিনি নিজের স্ত্রীকে দিয়ে MTFE এর নারী সদস্য সংগ্রহে ব্যবহার করতেন ,আর এভাবেই তিনি লামিয়াকে বানিয়েছিলেন MTFE এর সিইও । এর থেকে প্রায় আড়াইশত নারী প্রতারিত হয়েছেন ও সালেকে হাতে প্রতারিত হয়েছেন প্রায় তিনশত পরিবারের পুরুষ। আবু সালেক বা আকরাম MTFE এর নিজের সেমিনার হলে সেটি তিনি নিজের বাড়ির ছাদে আয়োজন করতেন আর তার স্ত্রীর সেমিনার হলে বানারীপাড়ার লারিসা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করাতেন। এছাড়াও চাকরির সুবাদে তিনি বরিশালেও গড়েছিলেন ব্যপক বিনিয়োগকারী তাই সালেক বা মিমের বড় সেমিনার হলে আয়োজন করতেন বরিশালের বড় বড় চাইনিজে । স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই সিইও হওয়ায় তারা দুজনে MTFE থেকে বেতন পেতেন ৭০০ ডলার করে ১৪০০ ডলার এছাড়ার তাদের দুজনের দুজন এসিটেন্ড ছিলো যাদের MTFE বেতন দিত বাংলা টাকার প্রায় ৪০হাজার টাকা মত । সম্ভবত তদের এসিটেন্ডের নাম ছিলো রাজু তবে তার স্ত্রী লামিয়ার এসিটেন্ডের নাম পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিনিয়োগকারী জানান, প্রোফিট ও কমিশন মিলিয়ে হাজার ডলারের উপরে প্রতিদিন ইনকাম ছিলো তাদের। এছাড়া বেতন ,সেমিনার ফি ও অফিস ভাড়া ছিলো আলাদা। তিনি আরও জানান ছালেকের ছিলো ডলারের অবৈধ ব্যবসা। তিনি ডলার কিনতেন ও ডলার বিক্রি করতেন। যা তিনি বাইন্যান্সের মাধ্যমে করতেন।
আবু সালেকের প্রতারনার মূল চাবী ছিলো ধর্ম । তিনি ধর্মকে অপব্যবহার করে MTFE প্রতারনার ফাদঁ পাততেন বা সদস্য সংগ্রহ করতেন। তিনি সর্বদাই সেমিনারে নামাজের উদ্ধৃতি দিতেন। এছাড়াও সেমিনারে ছালেক বলতেন MTFE একটি মাষ্টার প্লান নিয়ে এগোচ্ছে। MTFE দশ বছরের মাষ্টার প্লানে তাদের বিজনেসটি পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে দিবেন। ছালেক আরও বলতেন MTFE একটি চ্যারাটি ফার্ম এটি সমাজ উন্নয়নে কাজ করে। শ্রীলঙ্কা যে দুরাবস্তার মধ্যে পরেছে MTFE তাদের ঘুরিয়ে দাড় করিয়েছে। এছাড়াও তিনি MTFE এর কমিশন খাওয়া দালালির পক্ষে উদ্ধৃতি বলতেন ওরা অর্থাৎ MTFE যদি থাকে তাহলে MTFE এর লাভ অর্থাৎ MTFE যাবেনা। তিনি MTFE নিয়ে উদাহরন টেনে বলতেন MTFE একটি সোনার ডিম পাড়া হাঁস, যদি ওরে জবাই দিয়া খাইলাম তাহলে একদিনে শেষ আর যদি বাইচা থাকে তাহলে প্রতিদিন খাবো। যেহেতু ওদের লাভ তাই ওরা যাবেনা দশ বছর থাকবে। এছাড়াও তিনি বলেছেন MTFE এর মাষ্টার প্লানে আমাদের উন্নয়নে ও আমাদের সমাজ উন্নয়নে MTFE এর একশত স্কুল প্রতিষ্ঠা করবে আগামী দশ বছরে এর মধ্যে আমাদের অর্থাৎ MTFE এর পাচঁটি স্কুল বাজেটে রয়েছে যার মধ্যে এক একটি স্কুলের বাজেট সাড়ে আট কোটি থেকে প্রায় নয় কোটি টাকা বাজেট এই বিগ এমাউন্টের ধারনা দিয়ে তিনি MTFE তে বিনিয়োগ করাতেন বা প্রতারনা করতেন । এছাড়াও তিনি MTFE কে নিজের বলে দাবি করে বলতেন তাদের বাজেট আছে ও MTFE যাবেনা।
এদিকে এক বিনিয়োগকারী জানান MTFE পালানোর পর আর আবু ছালেক বা আকরামকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা এছাড়াও তিনি ফোন নাম্বার বন্ধ রেখেছেন। তবে খোজ নিয়ে জানাগেছে তিনি তার শশুর বাড়ি সম্ভবত মেহেন্দিগঞ্জে গাঁঢাকা দিয়েছেন। তবে তিনি নিয়মিত অফিস করছেন। এছাড়াও লোকমুখে শোনাযাচ্ছে তিনি বরিশালে MTFE এর টাকায় জমি ও ফ্লাট কিনেছেন ।
তবে ফ্লাট ও বাড়ির বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি কারন তার ব্যক্তিগত এই 01636-204244 নম্বরটি বন্ধ ছিলো।
এদিকে বানারীপাড়া সচেতন মহলের দাবী আবু ছালেক বা আকরামের সমাজ উন্নয়ন,আমাদের উন্নয়ন ,স্কুল করা বা মাষ্টার প্লান সবকিছুই যে ছিলো তার মাষ্টার প্লানের প্রতারনা সেটি জনগন বুঝতে পারেনি তাই আবু সালেক বা আকরাম’কে অতিসত্বর গেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক ।এছাড়াও তিনি ছিলেন হাফেজ আব্দুর রহমানে সহযোগী তাই আবু সালেক’কে গ্রেফতার করলে সকল বিড়াল বেরিয়ে আসবে। তবে ছালেক যেন বরিশাল থেকে পালাতে না পারেন সে ব্যবস্থা যেন প্রশাসন করে।
বিঃদ্রঃ পরবর্তীতে সিইও আবু সালেকের ভিডিও প্রতিবেদন নিয়ে আসছি….