নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি

মো. লিটন মাহমুদ
মুন্সীগঞ্জ :

বাবা তুমি কোথায়? ফিরে এসো বাবা মায়ের কোলে , ফিরে এসো। হে আল্লাহ তুমি সন্তানের সন্ধান মিলিয়ে দাও। এভাবেই আকুতি জানিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তাসলিমা বেগম (৫৫)। সন্তানকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন ২৪ দিন ধরে। আমার ছেলেটারে চাই, আর কিছু চাই না, আমি ছেলেকে বুকে নিয়ে ঘুমামু। ও আমারে ছাড়া ঘুমায় না, ভাত খায় না,মিনিটে মিনিটে ফোন দিয়ে বলে, মা আমার ক্লাস শেষ হয়েছে। আরেকটা শুরু হবে। তুমি কোন চিন্তা করো না।
মা তাসলিমা বেগম আরও বলেন ৪/৫ দিন আগে মুন্সীগঞ্জের সিপাহীপাড়া বাজারের পুরি সিঙ্গারা দোকানে নাকি গিয়েছিল নাস্তা করতে। কী ভাবে জানতে পারলেন দোকানে গিয়েছিল , প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দোকানদারকে ছবি দেখিয়েছিলাম তখন ছবি দেখে চিনতে পেরেছে ।
তাসলিমা বেগম মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা চরকেওয়ার ইউনিয়নের ভিটিহোগলা গ্রামের বাসিন্দা। তারা বর্তমানে ঢাকা ভানু মঞ্জিল উত্তর ভাষানটেকে বসবাস করেন।

জানা যায়, রাজধানী ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ইমতিয়াজ আহাম্মেদ তন্ময় (২২) নামের এক শিক্ষার্থীকে ২৪ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় পরিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। নিখোঁজ ইমতিয়াজ আহম্মেদ তন্ময় (২২) উত্তর ভাষানটেক এলাকার মৃত ইউসুফ আলী সরদারের ছেলে। সে সাউথইষ্ট ইউনিভার্নিসিটির বি. বি. এ এর ৩য় সেমিষ্টারের ছাত্র। গত ২২ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে তেজগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যার পরও বাড়িতে না ফেরায় আত্মীয় স্বজনরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন। ছোট ভাইয়ের সন্ধান না পেয়ে ২৮ আগষ্ট ভাষানটেক থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বড় ভাই তোফাজ্জল হোসাইন। যার সাধারণ ডায়েরী নং-১১৬৭, ২৮-০৮-২০২৩ইং। ইমতিয়াজ আহম্মেদ তন্ময়ের উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। গায়ের রং শ্যামলা ও পড়নে নেভী ব্লু ফুল হাতা শার্ট ও কালো নরমাল পেন্ট পরিহিত ছিল। নিখোঁজ ইমতিয়াজ আহাম্মেদ তন্ময়ের কোনো খোঁজ পেলে ভাষানটেক থানায় অথবা তার ভাই তোফাজ্জল হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। তোফাজ্জাল হোসাইনের মোবাইল নাম্বারঃ-০১৭০৭০৩৮০৯৮।

এই বিষয়ে ভাষানটেক থানার এস আই মিলটন দত্ত বলেন, যেহেতু ছেলেটি নিখোঁজ হয়েছে। কিন্তু সাথে কোন মোবাইল ব্যবহার করে না। আমরা তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি।সব ধরনের তথ্য নিয়েছি এবং আমাদের পিবিআই ও ডিবি বরাবর ছবি প্রেরণ করেছি। বিভিন্ন থানায় জানানো হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *