December 21, 2024, 2:56 pm
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ময়মনসিংহ জেলাধীন সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খনন কাজ পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ সদরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে বিভাগীয় কমিশনার এর নির্দেশনায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল খনন প্রকল্পের আওতাধীন দুই কিলোমিটার এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তারা নদের খননের বিষয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব হিন্দু পূণ্যার্থীদের সুবিধার্থে এবং বিলুপ্ত-বেদখল নদ-নদী পুনরুদ্ধারের ধারাবাহিকতায় এককালের খরস্রোতা পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের খনন কাজ শুরু করায় সরকার, বিআইডব্লিউটিএ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
ইউএনও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জানান, হিন্দু পূণ্যার্থীদের সুবিধার্থে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করা হচ্ছে। খনন কাজ শুরুর আগে বিআইডব্লিউটিএর অনুরোধে ও মাটি ফেলার সুবিধার্থে এই নদের বন্দর অংশের তীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় সাংসদ ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশকে সার্বিক সহায়তা করেছেন।
প্রসঙ্গত, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তুলাই এবং পুনর্ভবা নদীর নাব্যতা উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধার” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের ময়মনসিংহ জেলাধীন সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে খনন কাজ চলমান আছে। চলমান খননকাজের অগ্রগতি ও ড্রেজার দ্বারা খননকৃত উত্তোলিত বালুর সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য শ্রদ্ধেয় বিভাগীয় কমিশনার স্যারের নির্দেশনায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টিম প্রকল্পকাজ পরিদর্শন করেন।
ব্রহ্মপুত্র একসময় বিশাল স্রোতধারা নিয়ে ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ নদ। আজকের চঞ্চলা যমুনা নদীও ছিল ব্রহ্মপুত্রের শাখা নদী। মূলত ১৭৮৭ সালের আগে যমুনা নামে কোনো নদী ছিল না, ছিল শীর্ণকায় খাল যার নাম ছিলো জানুয়া বা জিনুয়া। ১৭৮৭ সালে ভূমিকম্পের ফলে ব্রহ্মপুত্রের স্রোতধারা দেওয়ানগঞ্জের কাছে এসে ওই শীর্ণকায় খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়। সেটিই আজকের যমুনা নদী। এদিকে জামালপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ জেলা হয়ে মেঘনায় পতিত হওয়া মূল স্রোতটিই পুরাতন ব্রহ্মপুত্র।