December 21, 2024, 4:23 pm
হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন হাট-বাজারে ও মার্কেটের দোকানে নিষিদ্ধ পলিথিন অবাধে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার কারণে-একদিকে সোনালী দিন ফেরাতে পাটের ব্যাগ ব্যবহার হচ্ছে না। অন্যদিকে পলিথিন ব্যবহার করায় পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। বিভিন্ন পলি ড্রেনে আটকে গিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে।
বুধবার (০৬/০৯/২০২৩)ইং সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আশুলিয়ার বাইপাইল বাজার, জিরানী, ভাদাইল বাজার, জামগড়া বাজার, অন্যদিকে আশুলিয়া হাটসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। প্রাইকারি ও খুচরা দোকানদার বলেন, সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই পলিথিন বিক্রি করা হচ্ছে। অনেকেরই প্রশ্নঃ সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যেখানে-সেখানে পলিথিন বিক্রি হচ্ছে কিভাবে? মানুষ বাজার খরচ করার সময় প্রায় ব্যক্তির হাতেই পলিথিন ব্যাগ দেখা যায় চোখে পড়ার মতো।
বিশেষ করে বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্র্মকর্র্তাগণ সোনালী দিন ফেরাতে পাটের তৈরি ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবহার করার জন্য সকলকে জানিয়েছেন।কথিপয় লোক সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ও নিষিদ্ধ পলিথিন প্রকাশ্যে বিক্রি করে আসছে। সারা বিশ্¦ে পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও তা বাংলাদেশে সকলের অবহেলা ও সচেতনতার অভাবে সোনালী আঁশ পাট প্রায় বিলুুপ্তির পথে। বিশেষ করে লেখক, কলামিস্ট, পরিবেশববাদী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ বলেন, মাদক যেমনঃ যুবসমাজকে নষ্ট করছে, তেমনি পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য পরিবেশের কুফল বয়ে আনছে। অনেকেই বলছেন, যে জমিতে পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য ফেলা হয়-সেই জমিতে ফসল হয় না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মেহেদী হাসানসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসন বলেন, পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যবহার করার কারণে রাস্তা ও ড্রেন নষ্ট করে পরিবেশ দূুষণ করছে কিছু অসাধু লোকজন। সরকার নিষিদ্ধ করার পরও যারা আইন মানছেন না-তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তারা দাবী করেন।