মোঃ বাবুল হোসেন পঞ্চগড় :
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ এবং নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে চাকুরী প্রত্যাশী প্রার্থীকে ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উমর আলী, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি খয়রুল ইসলামসহ নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে৷
এসময় কয়েকজন চাকুরী প্রত্যাশী প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের হয়ে পরীক্ষা বর্জনসহ পুণরায় নিয়োগ পরীক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ জানান।
শুক্রবার সকালে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের আমজুয়ানী দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা এটি।
ক্ষুব্ধ চাকুরী প্রত্যাশীরা অভিযোগ করে জানান, গত কিছু দিন আগে এই বিদ্যায়লের জন্য অফিস সহায়ক, নৈশ্য প্রহরী ও আয়াসহ তিনটি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এতে অফিস সহায়ক পদে ৮জন, নৈশ্যপ্রহরী ৩ জন ও আয়া পদে ৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন৷
এদিকে আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় নিয়োগ পরীক্ষার দিন চূড়ান্ত করে নিয়োগ কমিটি৷ নির্ধারিত সময়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে আসেন চাকুরী প্রত্যাশীরা৷ এসময় অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষা চলাকালে দুজন পরীক্ষার্থী প্যান্টের পকেট থেকে মুঠোফোন বের করে খাতায় লেখার সময় রিদয় ও সালাম নামে অপর দুই পরীক্ষার্থী দায়িত্বরত শিক্ষককে বিষয়টি অবহিত করেন। কিন্তু এতে নীরব থাকেন দায়িত্বরত ওই শিক্ষক৷ এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খাতা জমা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে রিদয় প্রতিবাদ জানান৷ অন্যদিকে আবু সালাম নামে আরেক পরীক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে খাতা জমা না দিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্ত নিয়োগ কমিটিকে অভিযোগ করেন। এতে কোন ব্যবস্থা নেয়নি৷ পরে আধা ঘণ্টা পর বিদ্যালয়টির সভাপতি খয়রুল ইসলাম প্রাণনাশের হুমকি দিলে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন সালামের হাত থেকে জোরপূর্বক খাতাটি ছিনিয়ে নিয়ে জমা দেন বলে অভিযোগ সালামের। যদিও সালাম পরীক্ষার আগেই অভিযোগ করেন, চাকুরীর দেয়ার নামে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার কাছে ৫ লাাখ টাকা নিয়ে চাকুরী দিচ্ছে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের৷
এদিকে, নিয়োগ কমিটিতে থাকা ডিজির প্রতিনিধি ও পঞ্চগড় বিপি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো: ছায়ফুল্লাহ ও ডিডির প্রতিনিধি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আলীসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যরা অভিযোগ আমলে না নিয়ে অফিস সহায়ক, নৈশ্য প্রহরী ও আয়া পদে বিদ্যালয়
Leave a Reply