December 21, 2024, 3:09 pm
(রিপন ওঝা,মহালছড়ি)
মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের এলাকা হতে ২নং ওয়ার্ড পর্যন্ত আবর্জনা ও পলিমাটিতে ভরাট হয়ে নালায় পরিণত হয়েছিল। ছড়া খননের কাজের পরে কিন্তু সেই চিত্র এখন বদলে গেছে।
উক্ত খাল খননে খালপাড়ে জমির মালিকেরা বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেছেন। এই খাল খননে উভয়পাশে বসবাসরত জনজীবনের চিত্র পাল্টে গেছে।
খাগড়াছড়ি টু রাঙ্গামাটি সড়কের পাশে অবস্থিত ব্রীজ হতে চট্টগ্রাম পাড়ার চেঙ্গীমুখ পর্যন্ত ছড়াখননের মাধ্যমে প্রশস্ত করা হয়েছে। দুই পাড়ে খননের মাটি দিয়ে বাঁধের ন্যায় উচুঁ করে তৈরি করা হয়েছে। খননে উঁচু বাঁধগুলোর জায়গা মালিক দাবি করা কলেজের সামনে ভূমির মালিক নিজেরা বাঁধের মাটি পূর্বের ন্যায় ছড়ার দিকে ফেলতে দেখা যায়, যা অদূর ভবিষ্যতে এই ছড়াটি ভরাট হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
উক্ত ছড়াটি খননের পূর্বে প্রায় বর্ষায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে খালের দুই পাশে শত শত একর চাষযোগ্য জমি পাহাড়ের ঢলে তলিয়ে যেত। সেই মহালছড়ি সরকারি কলেজের সামনে অবস্থিত সড়ক ডুবে থাকতো এবং কলেজ ভবনের নিচতলা ডুবে পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে থাকতো, কলেজের পূর্বপাশে পলিমাটিতে স্যাতস্যাতে বিরাজমান থাকতো। প্রায় বর্ষার পাহাড়ের ঢলে কলেজের সামনে রাস্তা ডুবে থাকায় সকল ধরনের যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটতো।
এ বিষয়ে টমটম চালক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ রতন বলেন আগে এ রাস্তায় পাহাড়ী ঢলে এক কোমড় পর্যন্ত পানি ওঠায় চলাচলে সমস্যা হতো। বর্তমান ছড়াটি খননে উপজেলাবাসী ও টমটম চালকসহ সকল প্রকার যানবাহনের চালকগণ খুবই খুশি।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জানান যে, মহালছড়ি বাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো যে, রাঙ্গামাটি টু খাগড়াছড়ি সড়কের ব্রীজ হতে চট্টগ্রামপাড়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ৭০মিটার অবহেলিত ছড়া খনন করা। কিছুটা সময় বিলম্ব হলেও আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে ছড়া খননের কাজটি যুক্ত হয়েছে। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঠিকাদার কোম্পানিকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
উক্ত ছড়া খননে দায়িত্বপ্রাপ্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী দেবাংশ চাকমা জানান যে, সরকারের বরাদ্ধকৃত বাজেট থেকেই ৫ কিলোমিটার ৭০মিটার ছড়া খননের কাজটি সম্পন্ন করা হয়েছে।