December 21, 2024, 12:50 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
ময়মনসিংহ সদরে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট -২০২৪ মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাথে বিএনপি নেতা কাজী খায়রুজজামান শিপনের মতবিনিময় বাবুগঞ্জে ন্যায়ের পথে সংগঠনের পক্ষ থেকে বর্ষপূর্তি ও মহান বিজয় দিবস পালিত বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে: হাসান জাফির তুহিন শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ডের জন্ম হতো না: সেলিম রেজা হাবিব  সুজানগরে ৩৩ শিক্ষার্থীকে পবিত্র কোরআন শরীফের সবক প্রদান সুজানগর মহিলা কলেজের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন তানোরে বিএমডিএ চত্ত্বরে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে ঝিনাইদহে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে পালানোর সময় ভারতীয় নাগরিক আটক
গোপালগঞ্জে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্যের এক বছরের কারাদণ্ড

গোপালগঞ্জে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় পুলিশ সদস্যের এক বছরের কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্ত্রীর করা যৌতুক মামলায় জুয়েল মোল্লা (২৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় এ মামলা অপর তিন আসামীতে খালাস দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ আগষ্ট) দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায় এ আদেশ দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত ওই পুলিশ সদস্য, কাশিয়ানী উপজেলার জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোল্লার ছেলে। সে মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সে পুলিশের কনস্টবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, কাশিয়ানীর জোতকুরা গ্রামের আজাহার মোলার ছেলে জসিম মোল্যা, ছয়জুদ্দিন মোল্লার ছেলে আজাহার মোল্লা ও সদর উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের শহীদ মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা।

মামলার বিবরণে জানাগেছে, ২০১৫ সালে বাদী সাইমা আক্তার সীমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে চাকরির কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা নেয়। পরে ওই বছরেই পুলিশে চাকরি হওয়ার পর ট্রেইনিংয়ে যাওয়ার আগে শরিহা কাবিনমূলে বাদী সাইমা আক্তার সীমাকে বিয়ে করেন। পরের বছর বাদী ওই পুলিশ সদস্যকে কাবিনের জন্য চাপ দিলে বাদীর কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদী যৌতুক দিতে রাজি না হলে ওই পুলিশ সদস্য শরিহামূলে বিয়ের কথা অস্বীকার করে। এ ঘটনায় বাদী ২০১৭ সালের ৬ জুলাই বাদী গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

পরে ২০২০ সালে মামলার ভয়ে বাদীকে ঘরে তোলার প্রলোভন দেখিয়ে বাদীর কাছে আবারো দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না হলে বাদীকে ঘরে তুলবে না বলে জানিয়ে দেন ওই পুলিশ সদস্য।

পরে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানাকে তদন্ত দায়িত্ব দেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত পুলিশ সদস্য জুয়েল মোল্লাকে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন ও তিনজকে খালাস দেন।

মামলার বাদী সাইমা আক্তার সীমা বলেন, আমার সাথে প্রথমে প্রতারণা করে ৩ লাখ টাকা নেয়। পরে আমাকে শরাহ মূলে বিয়ে করে। পরে সে অস্বীকার করলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে আমাকে বাড়িতে নিবে বলে আবার আমার কাছে দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে মামলাটি আদলত আমলে নিয়ে বিচারকার্য শুরু করে। আজ আসামীকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। আমি এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।

বাদীপক্ষের আইনজীবি ফজলুল হক খান খোকন বলেন, ওই পুলিশ সদস্য প্রত্যেক বিষয়ে প্রতারনা করছে। ১ বছর সাজা কম হলেও দৃষ্টান্ত হয়েছে। কারন সাজা না হলে অন্য আসামীরা এ কাজে উৎসাহিত হবে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি। #

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD