December 21, 2024, 4:16 pm
মোংলা প্রতিনিধিঃ
যারা স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে ইতিহাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে বঙ্গবন্ধুসহ এদেশের নাম মুছে ফেলতে চেয়েছিলো, আজ তারাই ইতিহাসের আস্তাখুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের গর্ব। তার নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল এ কথা দেশের প্রতিটি বিবেকবান নাগরিক স্বীকার করে। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু বিপদগামী সদস্যদের হাতে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। বিশ্ব ও মানবসভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম এ হত্যাকান্ডের মাধ্যমে খুনিরা সেদিন বাঙালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শ গুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। মুছে ফেলতে চেয়েছিলো বাঙালির বীরত্ব গাথার ইতিহাসও।
শনিবার (২৬ আগষ্ট) বিকালে ঠোটারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ চত্বর মিঠাখালি ইউনিয়ন আ’লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শাস্তি নিশ্চিত না করে বরং দীর্ঘ সময় ধরে তাদের আড়াল করার অপচেষ্টা হয়েছে। এমনকি খুনিরা পুরস্কৃতও হয়েছে নানাভাবে। হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক সরকার। আর বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুনর্বাসনে দেশে-বিদেশে সহযোগিতা করেছে জিয়াউর রহমান, খালেজা জিয়া। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত এবং নানা বাধাবিপত্তি পেরিয়ে বিচার কাজ শেষ করেছে। পলাতক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পলাতক খুনিদের দেশের মাটিতে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য যা কিছু করা দরকার-সরকার সেটা করে যাচ্ছে। অচিরেই এ রায়ের সকল কার্যক্রম শেষ হবে দেশের প্রতিটি নাগরিক বিশ্বাস করে।
মিঠাখালি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি প্রীতিশ চন্দ্র হালদার’র সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইদ্রিস আলী ইজারাদার।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ইব্রাহিম হোসেন, ১নং চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো: তারিকুল ইসলাম,
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান ছোটমনি,
সোনাইলতলা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সরদার হুমাউন কবির, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মিঠাখালি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদার, সুন্দরবন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য খাঁন আহাদুজ্জামান, মিঠাখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার, সবেক ইউপি সদস্য আরিফ ফকিরসহ স্থানীয় আ’লীগের নের্তৃবৃন্দ ও সকল সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে ৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী ও ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়।