দুধকুমার নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন

এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের ধারিয়ারপাড় গ্রামে দুধকুমার নদী থেকে ২টি অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র। দীর্ঘদিন থেকে বালু তোলায় ভাঙছে দুধকুমার নদীর পারের আবাদী জমি। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে নদী তীরে অবস্থিত জমির মালিকরা।
এছাড়া ধারিয়ারপাড় (ভিতরবন্দ) দুধকুমার নদীর তীরে জমা রাখা বালু ট্রাক্টর এবং ট্রলিতে বহন করায় ক্ষতি হচ্ছে ধারিয়ারপাড় থেকে গাবতলা বাজার সড়কের। স্থানীয়রা থানায় অভিযোগ করেও মিলছে না প্রতিকার। এদিকে অবাধে দুধকুমার নদী থেকে বালু তোলা হলেও অজানা কারণে নিরব থাকে প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কচাকাটা থানার বল্লভেরখাস ইউনিয়নের টাপুর চর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ড্রেজার মেশিন মালিক কেরাম আলী ধারিয়ারপাড় (ভিতরবন্দ) সংলগ্ন দুধকুমার নদী থেকে ২মাস থেকে এবং কচাকাটা ইউনিয়নের ঈন্দ্রগড় (কাইয়েরচর) এলাকার সাবেক মেম্বার গাজিউর রহমান গাজি পশ্চিম ধারিয়ারপাড সংলগ্ন দুধকুমার নদী থেকে ১০দিন থেকে সিক্স সিলিন্ডার ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। এসব বালু ধারিয়ারপাড়ে জমা করে সারা বছর বিক্রি করে থাকেন তারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দুধকুমার নদী থেকে বালু তোলায় তীরবর্তী আবাদী জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। এছাড়া দুধকুমার নদী ভাঙনে ফান্দেরচর বিলীনের পথে। ধারিয়ারপাড়ে বালুর স্তুপ করে রাখে এবং ট্রাকটর যোগে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে। আবার প্রতিনিয়ত কয়েকটি ট্রাক্টর আসা যাওয়ায় স্থানীয় ধারিয়ারপাড় এলাকার সড়কটিরও ক্ষতি হয়েছে। ড্রেজারে বালু তোলার ফলে অনেকের নদী তীরে থাকা জমি ভেঙে নদীতে বিলিন হয়েছে।

ড্রেজার মেশিন মালিক কেরাম আলী বলেন, ৭১বাংলা টিভির রিপোর্টারসহ বিভিন্ন জায়গা ম্যানেজ করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দুধকুমার নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছি। ড্রেজার মেশিন মালিক গাজিউর রহমান গাজি বলেন, আমার বিরুদ্ধ স্থানীয়রা আজ থানায় অভিযোগ করেছে। কচাকাটা থানা থেকে এসআই হরিকেশ সাহেব এসে ড্রেজার মেশিন বন্ধ করে দিয়েছে। সন্ধ্যায় থানায় বসে আগামীকাল থেকে ড্রেজার চালু করবো। সব জায়গা ম্যানেজ করা আছে তবে সমস্যা নাই।

নাগেশ্বরী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আশিক আহমেদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ড্রেজার মেশিন মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা জাহান জানান, অবৈধ্য বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে প্রশাসন সোচ্চার রয়েছে। ইতিপূর্বে আমরা বিভিন্ন স্থানে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। দুধকুমার নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। এ বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *