দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদ তেঁতুলিয়ায় নিয়ম বহির্ভুতভাবে পরিষদ চত্বর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সরকারি গাছ

মুুহম্মদ তরিকুল ইসলাম,তেতুলিয়া প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নিলাম বা দরপত্র আহ্বান ছাড়াই মাগুরমারী চৌরাস্তা বাজার থেকে দেবনগড় সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে মাগুরমারী চৌরাস্তা বাজারে তাইজদ্দিনের বাসত বাড়ির উপর ঝড়ে পড়ে যাওয়া ইউক্লিপ্টাস গাছ ইউপি চত্বর থেকে সরিয়ে নিয়েছেন চেয়ারম্যান ছলেমান আলী। গত রোববার (৩০ জুলাই) দুপুরের দিকে দুটি ভ্যান যোগে গাছের লক গুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। ঘটনাটি উপজেলার ৭নং দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদে ঘটেছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রায় ৭/৮ মাস ধরে ইউক্লিপ্টাস গাছের ১০ থেকে ১১টি লগ ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে মজুদ রাখা ছিল। এছাড়া আরোও কয়েকটি গাছের লক বর্তমানে মজুদ রয়েছে। হঠাৎ ইউপি চেয়ারম্যান গাছের লগগুলো পরিষদ থেকে ভ্যান যোগে সরিয়ে নিলে ওই গাছের পাহারাদার বেগম নামে এক বৃদ্ধ মহিলা ভ্যান দুটিকে মাগুরমারী চৌরাস্তা বাজারে আটকিয়ে রাখেন। পরে সিদেসাদা ওই বৃদ্ধ মহিলাকে এমপি, ইউএনও এর কথা বলে ভ্যান দুটি ফাসলিয়ে নেয়।

ঘটনার দিন পরিষদে দায়িত্বরত এক গ্রাম পুলিশ জানান, ‘আমি ভাই পরিষদে ছিলাম, দুটি ভ্যানে গাছের লক গুলো পরিষদ থেকে নিয়ে গেল, বাজারে কি হয়েছে সেটি আমি বলতে পারছিনা।’

দেবনগড় ইউনিয়নের মাগুরমারী চৌরাস্তা নামক এলাকার মৃত আজিব উদ্দীনের স্ত্রী বেগম(গাছ পাহারাদার) জানান, ‘গাছের লকলা দুইটা ভ্যানত লাগাছিল। মুই মোর পাওনা টাকার তানে আটকাই দিছিনু। কিন্তু মোক কোন টাকা দেয়নি। গাছের লকলা দেহেনে বলে ব্যানার বানাবে, এমপি লে-যাবা কহিছে।’
তিনি আরোও বলেন, আমি এই রাস্তায় গাছ পাহারা দিয়েছি। পাহারা দেওয়া ১৪টি গাছ নিলাম হলে আদৌ কোন টাকা পায়নি। আমি পাবো ৪০ পারসেন্ট পরিষদ পাবে ৩০ পারসেন্ট আর মালিক পাবে ৩০ পারসেন্ট কিন্তু আমাকে এখনোও কোন টাকা দেয়া হচ্ছেনা।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘গাছগুলো আমার নিজের গাছ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যানার বানাবো সে জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। গাছ গুলো আমার নিজের, ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় ভুলক্রমে আমার গাছ গুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অন্যান্য গাছ গুলো ইউনিয়ন পরিষদে রাখা আছে।’

এদিকে এক ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী জানান, মাগুরমারী বাজারে তাইজদ্দিনের বাড়ির উপর ভেঙে পড়া গাছটিই ছিল নিয়ে যাওয়া সেই গাছটির লকগুলো।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে অবগত নই। চেয়ারম্যান গাছের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন কিছুই জানাননি।’
এ বিষয়ে জানার জন্য ঘটনার পরের দিন দুপুরে প গড়-১ আসনের সংসদ সদস্য এমপি মজাহারুল হক প্রধানের প্যাডে দেওয়া ০১৫১১২৩৪৭৭৭ নম্বরে কল করা হলে কলটি রিসিভ হয়নি।

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *