আড়ার সাথে মায়ের ঝুলন্ত মরদেহের পাশে মেয়ের মরদেহ

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছিল মা সাথী বাড়ৈ (২৪)। তার পাশেই মাটিতে পড়ে ছিল তারই ৬ মাসের কন্যা শিশু অনুশকা বাড়ৈর মরদেহ। নিজ কন্যা সন্তানকে হত্যার পর মা নিজে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করছে এলাকাবাসী।

আর এমন ঘটনা ঘটেছে আজ রবিবার (৩০ জুলাই) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে।

কোটালীপাড়া থানার ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গৃহবধু সাথী বাড়ৈ উপজেলার পিড়ারবাড়ি গ্রামের রসময় বাড়ৈর স্ত্রী ও রামনগর গ্রামের রনজিৎ বল্লভের মেয়ে।

প্রতিবেশী মনিময় বল্লভ বলেন, ছয় বছর আগে সাথী বাড়ৈর সাথে পিড়ার বাড়ি গ্রামের দিনমজুর রসময় বাড়ৈর বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর ওই দম্পতির একটি কন্যা সন্তানের জন্ম। এর কিছু দিন পর সাথী বাড়ৈ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর সে রামনগরে তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। গত ছয় মাস আগে সাথী বাড়ৈ বাবার বাড়িতে বসে দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়।

ঘটনার দিন আজ রোববার দুপুরে বাবার বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা পাশ্ববর্তী রামনগর বিলে কাজ করতে যায়। তারা বাড়ি ফিরে এসে ঘরের আড়ার সাথে দড়ি দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সাথী বাড়ৈকে দেখতে পায়। পাশেই পড়ে ছিল সাথী বাড়ৈর ৬ মাসের কন্যা শিশুর অনুশকার মরদেহ।

অপর প্রতিবেশী জানকি হালদার বলেন, সাথী বাড়ৈ মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিল। সে প্রায়ই এলোমেলভাবে চলাফেরা করতো। আমাদের ধারনা সাথী বাড়ৈ তার শিশু কন্যাকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যা করেছে।

কোটালীপাড়া থানার ভাঙ্গারহাট নৌ তদন্ত কেন্দ্রের উপ পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আলাদা আলাদা ভাবে দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। #

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *