ময়মনসিংহে ৮ ঘন্টায় মধ্যে গৃহবধুর হত্যাকারী শাহাদাৎ গ্রেফতার

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের মধ্য বাড়েরা এলাকার আলোচিত গৃহবধু হত্যাকান্ডের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে মাত্র ৮ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মোঃ শাহাদাৎ হোসেন(২৪)। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দ করলে আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

পুলিশ জানায়- গত ২৭ জুলাই দুপুর অনুমান ০৩.১০ ঘটিকার সময় মধ্য বাড়েরা এলাকার হানিফ মিয়ার স্ত্রী ভিকটিম রেজিয়া (৩৫), এর বসত বাড়ীতে এসে একই শাহাদাত জানায় তাহার ছেলে ইমরান (২৩) তার নিকট থেকে ৭,০০০/- (সাত হাজার) টাকা হাওলাত নিয়েছে। উক্ত টাকা সে ফেরত চাইলে রেজিয়া কিছুদিন পর টাকা ফেরত দিবে বলে জানালেও শাহাদাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম রেজিয়া(৩৫) কে প্রথমে কিল-ঘুষি মারিয়া খুন জখমের হুমকী দিয়া চলিয়া যায়। পরবর্তীতে একই দিনে বিকাল অনুমান ০৪.৪৫ ঘটিকার সময় আসামী মোঃ শাহাদাৎ পূনরায় ভিকটিম রেজিয়া’র বসত বাড়ীতে আসিয়া ভিকটিমকে ধারালো ছুরি দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে পিঠের বাম পাশে ঘাই মারিয়া গুরুতর ছিদ্রযুক্ত রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিমের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামী পলিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন ভিকটিমকে নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেজিয়া মৃত্যু বরন করে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিম মৃত রেজিয়া’র ভাই মো: সুমন বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করিলে মামলা রুজু করা হয়।
পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞার নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহিনুল ইসলাম ফকিরের তত্ত্বাবধানে অফিসার ইনর্চাজ শাহ কামাল আকন্দের তদারকীতে এসআই নিরুপম নাগ, এসআই আনোয়ার হোসেন, এসআই মনির হোসেন, এএসআই সুজন চন্দ্র সাহা, কনস্টেবল জোবায়েদ হোসেন চৌধুরী, কনস্টেবল মিজানুর রহমান সহ কোতোয়ালী পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিযানে নেমে ঘটনায় জড়িত আসামীকে গ্রেফতারের জন্য জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে ২৮ জুলাই ভোর ০৪.৩০ ঘটিকার সময় মাসকান্দা হতে আসামী মোঃ শাহাদাৎ (২৪)কে গ্রেফতার করে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
জানা যায়

পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামী শাহাদাৎকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে স্বেচ্ছায় সে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *