হায়দার আলী।
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন কর্মচারীর মোটা অংকের নিয়োগ বাণিজ্যের জেরে ফুঁসে উঠেছে জনগণ। যে কোন সময় স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে এলাকাছাড়াসহ বড় ধরনের সহিংসতা হবার আশঙ্কা রয়েছে।
হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের নামে ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কালাম আজাদ ও স্কুল কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান দুজন মিলে তিন প্রার্থীর নিকট থেকে সাড়ে ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়ায় অভিযোগ ও অবৈধ পন্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলীকে যোগদানের চাপ প্রয়োগ করে।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও আয়া পদে তিনজনকে যোগদান না করালে স্কুলের শিক্ষকদের প্রাণনাশের হুমকির খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয়। এতে সহকারি শিক্ষক আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, স্কুলে শিক্ষকদের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ তার নানান অপকর্ম তুলে ধরা হয়। এছাড়াও আবুল কালাম আজাদ নামসর্বস্ব ভূয়া অনুমোদনহীন অনলাইনে নিজেদের মনগড়া মন্তব্য তৈরী করে অপপ্রচর করে।
এসব খবর স্থানীয়দের নজরে আসলে এলাকার লোকজন সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে। এলাকার ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম রক্ষাতে স্থানীয় ৫০-৬০ জন সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে জড়ো হয়ে স্কুলের নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানান বিষয় নিয়ে ধর্মীয় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ঘিরে ফেলে এসব বিষয়ে জানতে চাই। এসময় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ নিজে গাম্ভীর্য নিয়ে তাদেরকেই প্রশ্ন করে কি জানতে চান?।
প্রধান শিক্ষক আমাদের কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। এসময় শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের এমন গাম্ভীর্যের সাথে কথা বলায় স্থানীয়রা ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে স্থানীয়দের জনরোষের মধ্যে পড়ে শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদ। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে কোন কথা না বলেই চুপচাপ থাকে।
পরে স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলীর নিকট চাঁদার বিষয়টি জানতে চাইলে, সবকিছু পরিষ্কার করে বুঝিয়ে বললে শান্ত হন।
এই বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও সভাপতি মতিউর রহমান কয়েকদিন থেকে আওয়ামী লীগ ও এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের নিয়োগ বাণিজ্য ও শিক্ষকদের প্রাণ নাশের হুমকির খবর দেখে আসছি। এছাড়াও শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এলাকায় নানান ধরনের অপর্কম করে এমন খবর পাই। তাই তার কাছে জানতে গিয়েছিলাম। আমরা এলাকাবাসী একহয়ে তিনদিন সময় দিয়েছি সবকিছুর সমাধান করার জন্য। যদি সমাধান না করা হয় তাহলে পরবর্তিতে আমরা ব্যবস্থা নিবো বলে জানান।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলী বলেন, স্থানীয়রা স্কুলে এসেছিলো। শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ তাদের কাছে অভিযোগ করে আমরা নাকি চাঁদা চেয়েছি। আব্দুল কালাম আজাদ নিজে বাঁচতে নানান জনকে একেক রকম কথা বলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। স্থানীয়দের কাছে আমরা সত্যতা তুলে ধরে বুঝিয়ে বলার পর চলে যায় বলে জানান।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
গোদাগাড়ী, রাজশাহী।

Leave a Reply