সুন্দরগঞ্জে সাংবাদিককে ছুরি মারায় থানায় অভিযোগ

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বখাটের ছিনতাইয়ের কাজে বাঁধা দেয়ায় সাংবাদিক মোজাফফর হোসেনকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঘটনাটি শুক্রবার রাতে উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের বেকাটারি গ্রামের খংগুয়ার ব্রীজ সংলগ্ন বাবুর মোড় নামক স্থানে ঘটেছে। মোজাফফর উত্তর বেকাটারি গ্রামের হাবিজার রহমান ব্যাপারীর ছেলে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত একমাস পূর্বে পাশ্ববর্তী সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার কিশামত হামিদ গ্রামের সুরুজ্জামান মিয়ার বখাটে ছেলে মোতালেব মিয়া রাতের অন্ধকারে বালারছিড়া-বামনডাঙ্গা সড়কের বেকটারি নামক স্থানে এক মহিলা পথচারির ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। জানতে পেরে সাংবাদিক মোজাফফর ওই নারীর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে দেয়। পাশাপাশি তাকে বাড়ি পৌঁচ্ছে দেয়। তারপর থেকে বখাটে মোতালেব তার উপর ভিষণ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন শুক্রবার মোজাফফর হোসেন ডোমেরহাট বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার সময় বাবুর মোড় নামক স্থানে পৌঁচ্ছলে ওই বখাটে তাকে দেখা মাত্রই ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে তার নাকের মধ্যে একটু কেটে যায়। পরে স্থানীয়রা বখাটে মোতালেবকে আটক করার চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসী, নারী ধর্ষণ ও মাদক সেবনের অপরাধে মোতালেবের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন বলেন, তার চলাফেরা করা এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপদজনক হয়ে পড়েছে । তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী মামুন মিয়া জানান, সাংবাদিক মোটর সাইকেল নিয়ে এসে বাবুর মোড়ে দাঁড়ানো মাত্রই মোতালেব তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সাংবাদিক কৌশল অবলম্বন করায় বেঁচে যায়। পরে উপস্থিত সকলে তাকে আটক করার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হুদা সরকার জানান, মোতালের একজন বখাটে ও সন্ত্রাসী ছেলে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত নানাবিধ অভিযোগের কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছে। মোজাফ্ফর হোসেনের নিরাপত্তার জন্য তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া একান্ত প্রয়োজন।

থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, সাংবাদিকের অভিযোগটি তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *