January 15, 2025, 9:18 am
রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী।।রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কাঁচা মরিচের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রতিটি পণ্যের দাম। সঙ্কটের অজুহাতে বাজারে হু হু করে বাড়ছে কাঁচা মরিচের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বাড়ানো হয়েছে কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৪০ টাকা।
রাজশাহীর পাইকারি বাজারে একপাল্লা কাঁচা মরিচদদদ ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ২২০ টাকা থেকে ২৪৫ টাকা।
এদিকে সবজি বাজারেও প্রায় সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে আকাশছোঁয়া গতিতে। ডলারের দর বৃদ্ধি ও রিজার্ভ সাশ্রয়ে আমদানি নিরুৎসাহিত করায় সব ধরনের আমদানি পণ্যের দাম বেড়েছে। জালানী তেলের মূল্য হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল পুন্যের দাম বাড়ছে কয়েক গুন। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশে উৎপাদিত পণ্যের দামও। করোনার পরবর্তী সময়ে এবং অর্থনৈতিক মন্দায় মানুষের আয় বাড়েনি। বরং অনেক ক্ষেত্রে কমেছে। এতে করে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষ চাহিদা অনুযায়ী পণ্য কিনতে পারছে না। এতে তাদের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।
জানা যায়, হঠাৎ কাঁচা মরিচের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ সঙ্কটকে পুঁজি করে কয়েক দিনের ব্যবধানে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। কাঁচা মরিচের সঙ্কটে প্রভাব পড়েছে শুকনো মরিচেও। বাজারে দেশি শুকনা মরিচের কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা এবং ভারতীয় মরিচ ৪২০-৪৬০ টাকা।
আজ সকালে গোদাগাড়ীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ ২৪০-২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত কয়েক দিন আগেও দাম ছিল ১৪০-১৫০ টাকা।
আড়তদাররা জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ নেই বললেই চলে। আগে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচা মরিচ আসত।
ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে উৎপাদন কম হওয়ায় কাঁচা মরিচ আসছে না। বাজারে যেসব মরিচ পাওয়া যাচ্ছে তা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা। এ কারণে বেড়েছে পরিবহণ খরচ। তাই বেড়েছে মরিচের দাম। অতিবৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। ফলে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ছেই।
মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।