মোঃ হায়দার আলী, রাজশাহী থেকেঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে আদা ও কাঁচা মরিচ ৪ শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, ১৮০ টাকার হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২৩০/২৫০ টাকা কেজি, ২৮/৩০ টাকার দেশী পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ /৯৫ টাকা, ভারতীয় পচা পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮/৩০ টাকা কেজি ১২৫/১৩০ টাকার চিনি একলাফে ১৩৫০/১৫৫ টাকা।
একই সাথে পাল্লা দিয়ে কেজি প্রতি ২০ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে, ৩৫/৩৬ টাকা বেড়েছে অন্যন্য মসলা ও সবজির দাম। মাছ, মাংশের বাজারে লেগেছে আগুন সে আগুন নিভানো যাচ্ছে না। গরুর মাংশ ৬৮০/৮০০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি ৬০০/৬৫০ টাকা কেজি, গতবার সকলে মহিশালবাড়ী বাজারে ৮০০ কেজি গরুর মাংশ, কক মুরগি ৩২০ কেজি, বয়লার মরগি ২০০/২২০কেজি বিক্রি হলেও ১ কিলোমিটার দূরে রেলওয়ে বাজারে গরুর মাংশ ৭৫০/৭৭০ টাকা কেজি, কক মুরগী ২৮০ টাকা, বয়লার মুরগী ১৮০ কেজি বিক্রি হয়েছে। দেখার যদি কেউ থাকতো তবে এমন অবস্থা হতো না। ব্যবসায়ীদের সরাসরি বক্তব্য যা দাম যাচ্ছি সে দাম পাচ্ছি কেউ সমস্যা করছে না।
অর্থনীতির ভাষায় বাজার নিয়ন্ত্রণ বলে একটি কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে সেটা গোদাগাড়ীতে সেটা নেই বললেই চলে। দোকানে দ্রব্যের মূল্য তালিকা ঝুলিয়ো রাখার নিয়ম থাকলেও সেটা মানা হচ্ছে না দোকান গুলিতে। মঙ্গবার (২৭ মে ) গোদাগাড়ী পৌরসভার মহিশালবাড়ী, রেলওয়ে বাজার, গোদাগাড়ী, কাঁকনহাট, প্রেমতলী, রাজাবাড়ি, হাটপাড়া, বাসুদেবপুর প্রভূতি বাজারে সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০/৩২০ টাকা কেজি দরে। অথচ এক-দু’দিন আগেও কাঁচা মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০০টাকা থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আলুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ টাকা।
৫০/৬০ টাকার করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০/৮৫ টাকা কেজি, ১৫/২৯ ডাটা শাক ৩০/৩৫ টাকা, ডাটা শাক ৩৫/৫০ টাকা কেজি দরে। মিষ্টি কুমড়া ৭০/৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য সবজির দাম। মহিশালবাড়ী বাজারের সবজির খুচরা বিক্রেতারা আব্দুল কুদ্দুস বলছেন, পাইকারী বাজারে আমদানী কম ও মূল্য বেশি হওয়ায় তারা বেশি দামে বিক্রি করছেন। এবার শেষ দিকে বৃষ্টি বেশী হওয়ায় শাঁক সবজির ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
সবজির পাইকারী বাজারে গিয়ে দেখা যায় সেখানে চাহিদার তুলনায় আলু পিয়াজসহ সবজির আমদানী অনেক কম। পাইকারী বিক্রেতারা বলছেন অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারনে কাঁচা মরিচসহ করলা বেগুনসহ সবজির গাছ মরে গেছে, একারনে বাজারে সবজির আমদানী কমে গেছে, দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এক শ্রেনীর অসাধু মজুদদার রাজশাহীর আশপাশের কোল্ডষ্টোরেজে প্রচুর পরিমানে আলু মজুদ রাখলেও, সেই আলু বাজারে ছাড়ছেনা, যার ফলে দিন দিন আলুর মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এদিকে হঠাৎ সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। তাঁরা বলছেন সারা দিনে যে আয় হয়, তা দিয়ে তারা পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য যোগাড় করতে পারছেনা। এতে সংসার পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের। ঈদের বাজার করবো কি করে।
এই বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মাহন্তের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি। তাই বক্তব্য পাওয়া সম্ভাব হয় নি।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে ও সিন্ডিকেট ভাঙতে বানিজ্য মন্ত্রী ব্যর্থ হওয়ায় সংসদে বানিজ্য মন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য এতে দারুন খুশি ক্রেতা সাধারন।
সচেতন মহল মনে করেন, শীঘ্রই অসাধু ব্যবস্যায়ী ও মজুদদারদের বিরুচ্ছে অভিযান চালানো হলে, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে এবং একই সাথে সবজির পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা যাতে ভোক্তাদের ক্রয় মূল্য ও বিক্রয় মুল্য নিশ্চিত করে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে দ্রুত বাজার সহজে নিয়ন্ত্রন হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন ।
মোঃ হায়দার আলী
রাজশাহী।
Leave a Reply