নাগেশ্বরীতে ভিতরবন্দ ফাযিল বি.এ রমাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্য

এম এস সাগর,
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর ভিতরবন্দ ফাযিল বি.এ মাদরাসায় দুই জন অফিস সহকারী নিয়োগ পরীক্ষায় ২০লাখ টাকা রফাদফায় (গত ২৩জুন ২০২৩) বৃহস্পতিবার ভিতরবন্দ ফাযিল বি.এ মাদরাসায় অতি গোপনে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে। এদিকে অধ্যক্ষ মোঃ জায়েদুর রহমানের অনিয়মে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের ভিতরবন্দ ফাযিল বি.এ মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ জায়েদুর রহমান সম্প্রতি গোপনে দু’টি পত্রিকায় দুই জন অফিস সহকারী পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি গোপন রেখে চাকুরী প্রত্যাশী শাহানুর আলম ও কফিল উদ্দিনের সাথে অধ্যক্ষ চুক্তি ভিত্তিক দুই জন অফিস সহকারী পদে ২০লাখ টাকা আগাম হাতিয়ে নেন এবং অতি গোপনে (গত ২৩জুন ২০২৩) বৃহস্পতিবার ভিতরবন্দ ফাযিল বি.এ মাদরাসায় গোপন নিয়োগে তার পছন্দের প্রার্থী শাহানুর আলম ও কফিল উদ্দিন কে নিয়োগ চুড়ান্ত করতে ৯জনের মধ্যে ৭জন প্রক্সি প্রার্থীকে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা করে। মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি সহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসেন মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করে। এদিকে গোপন নিয়োগের বিষয়টি ফাঁস হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ গোপন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাষ্টার মাইন্ড হিসেবে ওই মাদরাসার সভাপতি শাহ আলম নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন।

ভিতরবন্দ এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। সভাপতি ও অধ্যক্ষ যোগসাজশ করে দুই জন অফিস সহকারী পদে শাহানুর আলম ও কফিল উদ্দিন কে বিধি বহির্ভুত ভাবে নিয়োগ দিয়ে ২০লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

ভিতরবন্দ ফাযিল বি.এ মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ জায়েদুর রহমান দুই জন অফিস সহকারী নিয়োগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমান সভাপতির নির্দেশনা মোতাবেক দুই জন অফিস সহকারী পদে শাহানুর আলম ও কফিল উদ্দিন কে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্তে প্রার্থীদের কাছে কিছু খরচ নেয়া হয়েছে। নিয়োগ পরিক্ষা করতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিনিধিসহ অনেক কে ম্যানেজ করতে হয়েছে। নিয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের এতো মাথা ব্যথা কেন।

ভিতরবন্দ ফাযিল বি.এ মাদরাসার সভাপতি শাহ আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং ফোন কেটে দেন।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *