নাগেশ্বরীতে এনামগঞ্জ দাখিল মাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্য

এম এস সাগর,

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর এনামগঞ্জ দাখিল মাদরাসার আয়া ও পিয়ন নিয়োগ পরীক্ষায় ২০লাখ টাকা রফাদফায় গত ২০দিন পুর্বে নাগেশ্বরীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোপনে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সুপারের অনিয়মে প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো বিচ্ছিন্ন ও শিক্ষা কার্যক্রম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের এনামগঞ্জ দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল মান্নান সম্প্রতি গোপনে দু’টি পত্রিকায় একজন আয়া ও একজন পিয়ন পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়টি গোপন রেখে চাকুরী প্রত্যাশী বেরুবাড়ী ইউনিয়নের চিলমারী গ্রামের ছাইফুর মেম্বারের পুত্র রাহিমুল ইসলাম এবং পাশ্ববর্তী আবুল কালামের সহধর্মিনী ফরিদা খাতুনের পরিবারের সাথে সুপার চুক্তি ভিত্তিক পিয়ন ও আয়া দুই পদে ২০লাখ টাকা আগাম হাতিয়ে নেন এবং অতি গোপনে গত ২০দিন পুর্বে নাগেশ্বরীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গোপন নিয়োগে তার পছন্দের প্রার্থীর নিয়োগ চুড়ান্ত করতে প্রক্সি প্রার্থীকে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা করেন। এদিকে গোপন নিয়োগের বিষয়টি ফাঁস হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ গোপন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাষ্টার মাইন্ড হিসেবে ওই মাদরাসার সভাপতি মিজানুর রহমান মাস্টার নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন।

চিলমারী এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসায় নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। সভাপতি ও সুপার যোগসাজশ করে ছাইফুর মেম্বারের পুত্র রাহিমুল ইসলাম এবং পাশ্ববর্তী আবুল কালামের সহধর্মিনী ফরিদা খাতুন কে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে ২০লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সুপারের নির্দেশে শিক্ষক আব্দুল হাই চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষায় এক পরীক্ষার্থীর এডমিড কার্ড ছিরে ফেলারও অভিযোগ করেন।

এনামগঞ্জ দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, নিয়োগ পরিক্ষা করতে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডসহ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করতে হয়েছে। আপনার যা ইচ্ছে তাই লিখেন। নিউজ করে কোন ফলাফল আসবে না।

এনামগঞ্জ দাখিল মাদরাসার সভাপতি মিজানুর রহমান মাস্টারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নাই।

নাগেশ্বরী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *