July 31, 2025, 3:40 am

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
পোরশায় যুবলীগ নেতা ও হ-লুদ সাংবাদিক নাহিদ গ্রে-ফতার তানোরে ওসি আফজালের নে-তৃত্বে সফল অভি-যান- ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার চো-র গ্রে -প্তার সলঙ্গায় সাংবাদিকের পিতার স্মর-ণে দো-য়া মাহফিল নলডাঙ্গায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ কুড়িগ্রামে জমি স্কুলের- বে-চে দিলেন প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন মোংলায় বা-ঘ র-ক্ষায় সচে-তনতা সৃষ্টিতে বা-ঘ মহ-ড়া ও প্রীতি ফুটবল ম্যাচ ৪ লাখ টাকা চু-রি ২ বছর পর রহ-স্য উদঘাটন ও আসা-মী গ্রে-ফতার করলো পিবিআই মা-দক ব্যব-সায়ী শাহীন আলমের প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ ক্রো-ক করেছে সিআইডি পঞ্চগড়ে চিকিৎসক সেজে ওটি বয়ের অপারেশন: মালিক কা-রাগরে ময়মনসিংহ সদরে কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহে সুদ খোরের অত্যাচারে স্কুল শিক্ষক পথে বসেছে ফাঁকা চেকে এক লাখ টাকার পরিবর্তে ১১ লাখ টাকা বসিয়ে মামলা

ঝিনাইদহে সুদ খোরের অত্যাচারে স্কুল শিক্ষক পথে বসেছে ফাঁকা চেকে এক লাখ টাকার পরিবর্তে ১১ লাখ টাকা বসিয়ে মামলা

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের সুদ কারবারী আমিরুলের অত্যাচারে সর্বশান্ত হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক স্কুল শিক্ষকসহ অসংখ্য ব্যবসায়ী। এক লাখ টাকা আমিরুলের নিকট থেকে গ্রহন করে প্রায় চার লাখ টাকা দিয়েও পরিশোধ হয়নি স্কুল শিক্ষক কানু গোপাল মজুমদারের সুদের টাকা। সুদ কারবারী আমিরুল ইসলাম সদর পৌরসভার উদয়পুর গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সুদ কারবারের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তার অত্যাচারে ঝিনাইদহ শহরের অনেকে ব্যবসায়ী পথে বসেছে। আবার অনেকেই বাড়ি ঘর বিক্রি করে ছেড়েছেন এলাকা। ঝিনাইদহ শহরের ফজর আলী গার্লস স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কানু গোপাল মজুমদার জানান, তিনি ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে ২০১৭ সালে আমিরুলের নিকট থেকে কিছু দিনের জন্য এক লাখ ধার হিসেবে নেন। বিনিময়ে একটি ফাঁকা চেক গ্রহন করেন আমিরুল। টাকা পরিশোধ হলে চেকটি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো তার। কিন্তু পরবর্তীতে আমিরুল বলেন টাকা দিতে দেরি হলে প্রতিমাসে এক লাখ টাকায় ১০ হাজার টাকা সুদ হিসেবে দিতে হবে। মামলার ভয়ে কানু গোপাল তাকে প্রতি মাসে ১০ হাজার করে সুদ দিতে থাকেন। এভাবে ৩ বছরে ৪ লাখ টাকা দিয়েও রেহায় হয়নি। অবশেষে টাকা দিতে না পারলে ২০২০ সালে ফাঁকা চেকে ১১ লাখ টাকা বসিয়ে আদালতে মামলা করেন আমিরুল। পরবর্তীতে মামলা মিমাংসার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে কানু গোপালের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহন করেন। সুদ কারবারী আমিরুল প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে কানু গোপাল বাড়িতে থাকতে পারছেন না। শুধু কানু নয় তার মত আলিফ বেকারীর মালিক, হাটের রাস্তার শরিফুল, অনির্বান প্রি-ক্যাডেটের স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ, কুষ্টিয়া দধি ভান্ডারের মালিকসহ অসংখ্য মানুষ সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। এ ব্যপারে অভিযুক্ত আমিরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে জানান, “আমি ব্যবসায়ীক কাজে টাকা দিয়েছিলাম। টাকা না পেয়ে আদালতে মামলা করেছি। মোবাইলে তো এতো কথা বলা যাবে না, সামনাসামনি এসে কথা বলবো” এই বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD