তানোরের আরাত এগ্রোতে ৪৮০ টাকা কেজি দরে ওজনে গরু বিক্রি

আলিফ হোসেন,তানোরঃ
রাজশাহীতে তানোরে আসন্ন ইদুল আযহা (কোরবানি) উপলক্ষে ৪৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন মেসার্স আরাত এগ্রো লিমিটেড। তানোরে প্রথম বারের মতো তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া মহল্লায় অবস্থিত আরাত এগ্রো ৪৮০ ট্কা কেজি দরে ওজনে কোরবানীর গরু বিক্রি করছে। সব থেকে বড় সুবিধা এখানে অনলাইনে গরু কেনা ও কোরবানি পর্যন্ত গরু রাখার সুবিধা রয়েছে। আরাত এগ্রোতে কোরবানির জন্য উপযোগী ৫২টি ষাঁড় গরু রয়েছে । যার বাজার মূল্য প্রায় এককোটি ২০ লাখ টাকা। উপজেলায় এবার প্রথম অনলাইনে গরু বিক্রি ও বুকিং নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে আরাত এগ্রো । ইতোমধ্যেই সেখানে লাইফওয়েটে গরুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরাত এগ্রো কর্তৃপক্ষ বলছেন, এলাকায় বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশে মাংসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। এছাড়া সারাদেশ থেকে গরু কেনার অর্ডার পাচ্ছেন তারা । অনেকেই কোরবানির জন্য গরু কিনেন ঈদের আগের দিন ও কোরবানির দিনে সকালেও। সেইদিক বিবেচনা করে আরাত এগ্রোর গাড়িতে করে কোরবানির গরু গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আছে। বর্তমানে কোরবানির গরু বুকিং ছাড়াও অনলাইনে অর্ডারের সুযোগ ও রাখা হয়েছে এখানে ।
রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে আরাত এগ্রো থেকে। এখানে শাহীওয়াল, ফ্রিজিয়ান ক্রস, দেশি, গ্রির বা নেপালি জাতের ষাঁড় এবছর কোরবানির জন্য বিক্রি করা হচ্ছে। একেকটি গরুর ওজন ৩৫০থেকে ৬০০ কেজি বা তারও উপরে।আকার ও কালার ভেদে দাম নির্ধারন করা হয়েছে।
রাজশাহীর তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া মহল্লায় এক বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয় আরাত এগ্রো। শুরুতে ৫২টি ষাঁড় পালনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় আরাত এগোর যাত্রা। এখানে ষাঁড়, মহিষ ও ছাগল লালনপালন করা হচ্ছে।
লাইভ ওয়েট’ দিয়ে গরু বিক্রির কারণ হিসেবে আরাত এগ্রোর স্বত্ত্বাধিকারী
বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও তরুণ শিল্পপতি আলহাজ্ব আবুল বাসার সুজন বলেন, এই পদ্ধতিতে ক্রেতারা পরিকল্পনা মাফিক গরু কিনতে পারবেন। ফলে ক্রেতার ঠকবেন না বা লোকসান হবে না। এছাড়া আমাদের গরুকে কোনো ধরনের মেডিসিন খাওয়ানো হয় না। সবুজ ঘাস ও ধানের খড় খাওয়ানো হয়।
তিনি আরো বলেন,লাইভ ওয়েট’ দিয়ে গরু বিক্রিতে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করার বিষয় থাকে। তবে এই দাম নির্ধারণ সম্পর্কে তাঁরা ক্রেতাকে পুরো হিসাবই বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন, তাদের পক্ষ থেকে ঈদের একদিন আগে পর্যন্ত তারা গরু তাদের যত্নে রাখবেন এবং ক্রেতার বাসায় পৌছিয়ে দিবেন।যগরুর খাওয়ানো তাদের দায়িত্বে। কারণ শহরের সুন্দর বাড়িতে অনেকেরই কোরবানির গরু রাখা সমস্যা সে জন্যই তাদের এই চেষ্টা।তিনি বলেন, তাদের ওজন ভিত্তিক গরু বিক্রির কারণ হচ্ছে তারা কেনো একটি ৫ মনের গরুকে ৬ মন বলে বিক্রি করবেন, আর ক্রেতাগণই বা কেনো ঠকবে তাই তারা স্কেলের মাধ্যমে ওজন করে গরু বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগ্রহীদের (০১৭১৩-৭৯৩৯৪১) এই নম্বরে যোগাযোগ করার আহবান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তানোর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা, সুমন মিঞা বলেন গরুর ওজনের হিসাব করে বিক্রি করলে ক্রেতা জানবেন তিনি কত কেজি পর্যন্ত মাংস পাবেন। এ ছাড়া এই পদ্ধতিতে বিক্রি করলে স্বচ্ছতাও থাকে। এটি একটা ভাল উদ্যোগ।এছাড়াও এখানে প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে গরু লালন পালন করা হয়েছে।#

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *