May 10, 2025, 7:58 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
বেলকুচিতে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য রফিকুলের অত্যা-চারে অতি-ষ্ঠ এলাকাবাসী মুন্সীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরো-ধের জেরে হাম-লায় আহ-ত ৩ ধামইরহাটে প্রেমিকাকে বিয়ে করতে ব্য-র্থ হওয়ায় যুবকের আত্মহ-ত্যা পাইকগাছা পৌরসভায় বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন পাইকগাছায় চাঁ-দা চেয়ে ঘের ব্যবসায়ীকে চিঠি, থানায় জিডি ; ব্যবসায়ী দম্পতির প্রেস ব্রিফিং কাফেলা স্পোর্টিং ক্লাব ফুটবল কাপের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত তেঁতুলিয়ায় বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি রঞ্জু, সম্পাদক শাহীন নারী হ-য়রানি’র সংবাদ প্রকাশ করায় মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিকদের হু-মকি পটিয়ায় স-ন্ত্রাসবিরোধী মতবিনিময় অনুষ্ঠিত পোরশায় বর্গা চাষীদের উপর দু-র্বৃত্তদের হা-মলা, আটক ২
পাইকগাছায় সুখেন বিশ্বাসের ভাসমান নৌকায় বসবাস

পাইকগাছায় সুখেন বিশ্বাসের ভাসমান নৌকায় বসবাস

ইমদাদুল হক,পাইকগাছা,খুলনা।।
কপোতাক্ষ নদের জলে ডিঙ্গি নৌকায় এক যুগ সুখেন বিশ্বাস ভাসমান জীবন যাপন করছে। নদের ভাঙনে বাড়ী ঘর বিলিন হয়ে গেছে। জমি নেই ঘর নেই।ভাগ্য বিড়ম্বনায় শিকার হয়ে বৃদ্ধ সুখেন বিশ্বাসের সমতলের জীবন থেকে ছিটকে পড়েছে। কপোতাক্ষ নদের বোয়ালিয়া মালোপাড়ার পশ্চিম পাড়ে আশ্রাণ প্রকল্পে ঘর চেয়েও ঘর না পাওয়ায় সুখেনের ডাঙ্গায় ফিরা হয়নি।তাই স্ত্রী নমিতা বিশ্বাসকে নিয়ে ডিঙ্গি নৌকায় ভাসমান জীবন যাপন করছেন। তার বয়স প্রায় ৬৮ বছর। জলে ভাসা জীবন তার জলে ডুবেছে। খেয়ে না খেয়ে কোন রকম দিন কাটেছে তার। জীবিকার প্রয়োজনে কপোতাক্ষ নদে ও শিবসা নদীর জলে জীবন চাকা ঘুরাতে মাছ ধরতে প্রকৃতি সহ নানান প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করেছেন। তবুও জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার বাসনায় স্বপ্ন পুষেছেন।যদি আশ্রাণ প্রকল্পে ঘর একটা ঘর মেলে। আবার এক সময় সমতলের জীবনে ফিরে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর থেকে দিনমান অক্লান্ত খাটুনি খাটেছেন জাল নদী জলে।
কাঠের তৈরী নৌকায় জলে ভেসে ভেসে এক যুগের বেশী কাটিয়েছে সুখেন। ছোট্ট একটা নৌকাই তার ঘর-বাড়ি-সংসার। যাযাবর বা বেদে না হয়েও নৌকায় ভাসমান জীবন যাপন করছে। সকাল দুপুর পড়ন্ত বিকেল গোধূলি শেষে সন্ধ্যা হলে সোলার লাইট এর আলোতে আলোকিত হয় নৌকা।বিকালে চুলা জালায় নৌকায়,রাতেই হয় খাওয়া।এভাবেই বসবাস করে আসছেন ওই নদীর কিনারে থাকা সুখেন পরিবার। আধুনিক সভ্যতা থেকে ছিটকে পরা এই দরিদ্র মালো পরিবারটি। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ এই পরিবার নদীতে নৌকায় বসতি গড়ে তুলেছে।
জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়ানের হিতামপুর বোয়ালিয়া মালোপাড়ায় কপোতাক্ষ নদের তিরে সুখেন বিশ্বাসের জমি ঘর-বাড়ি ছিলো। কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে সুখেনসহ অনেকের জমি ঘর বিলিন হয়ে যায়।হত দরিদ্র সুখেন ঘর-বাড়ি হারিয়ে ভাসমান জীবন যাপন করতে থাকে।তার চার মেয়ে ও এক ছেলে।মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে বিদ্যুৎ বিশ্বাস ভারসাম্যহিন।তার এক মেয়ে কপোতাক্ষ নদের চরে সরকারি জমিতে দোচালা টিনের ঘর তৈরি করে বসবাস করছে।বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিদ্যুৎ বিশ্বাস বোনের তৈরি করা ঘরের এক রুমে থাকে।সুখেনের থাকার জায়গা না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে মাছ ধরা নৌকায় বসবাস শুরু করেন।নৌকায় তাদের সব কিছু ঘর-বাড়ি,সংসার আবার রোজগারের একমাত্র অবলম্বন নৌকা আর জাল। সুখেন-নমিতার নৌকায় ভাসমান জীবন। বোয়ালিয়া মালোপাড়ায় কপোতাক্ষ নদ থেকে শিবসা নদীর ব্রীজ পর্যন্ত ছোট বেন্দি জাল ফেলে মাছ ধরে সংসার চালায়।
ভাসমান জীবন যাপন করা সুখেন বিশ্বাস ও তার স্ত্রী নমিতা বিশ্বাসকে কপোতাক্ষ নদে খুজে পাওয়া যায়।তার এমন ভাসমান জীবন-যাপন নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে আমার জমি ঘর বিলিন হয়ে গৃহহীন হয়েছি।পরের জায়গায় এখানে সেখানে থেকেছি। গরিব মানুষ জমি কেনার টাকা নেই, তাই নিরুপায় হয়ে আমরা নৌকায় বসবাস করছি।
আম্ফান ঝড়ে আমার নৌকা নদী থেকে উঠাযে নিয়ে দুরে ফেরে দেয়।এতে নৌকা ভেঙ্গে চুরমার হযে যায়।তখন ধার দেনা করে খাই।অনেক কস্ট করে ১৫ হাজার টাকা সুদে নিয়ে নৌকা কিনেছি।এই নৌকা দিয়ে জাল ফেলে মাছ ধরি আবার নৌকায় ঘর সংসার সব কিছু।শিবসা ব্রিজের পাশে মাসের ১৫/২০ দিন মাছ ধরি।যে মাছ পাই তা বিক্রি করে চাউল ডাউল কিনে দুই জনের সংসার চালাই।রাতে নদীর পাশে গাছে নৌকার রশি বেধে ঘুমাই।ঝড়ের খবর পেলে খালের ভিতর নৌকা নিয়ে বেধে রাখি।মাঝে মাঝে বোয়ালিয়া মালোপাড়ায় কপোতাক্ষ নদে এসে মেয়ের বাসায রান্না করে নৌকায় নিযে খেয়ে নৌকায় ঘুমাই।নদীতে তেমন মাছ পড়েনা,গোনে পাচশত গ্রাম থেকে এক কেজি আর বেগোনে দুই-তিন শতগ্রাম মাছ পড়ে জালে।এই মাছ বিক্রি করে কোন রকমে সংসার চলছে।তিানি আরো বলেন, গুচ্ছ গ্রামে ঘর চাইছিলাম ঘর হয়নি,নৌকায় থাকতে ভয় লাগে ঝড় বৃস্টিতে কখন কি হয়।আমাকে একটা ঘর দিলে নিশ্চেতে থাকতে পারবো।এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম জানান,উনি যখন নদীতে মাছ ধরে তাহলে নদীর ধারের আশ্রাণ কেন্দ্রের ঘর উনার জন্য ভালো হবে। নদীর ধারের আশ্রাণ কেন্দ্রের কোন ঘর খালি আছে কিনা খোজ নিতে হবে।খালি ঘর পেলে উনাকে ঘর দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD