May 9, 2025, 12:50 pm

বিজ্ঞপ্তি :
বিশেষ সতর্কীকরন - "নতুন বাজার পত্রিকায়" প্রকাশিত সকল সংবাদের দ্বায়ভার সম্পুর্ন প্রতিনিধি ও লেখকের। আমরা আমাদের প্রতিনিধি ও লেখকের চিন্তা মতামতের প্রতি সম্পুর্ন শ্রদ্ধাশীল। অনেক সময় প্রকাশিত সংবাদের সাথে মাধ্যমটির সম্পাদকীয় নীতির মিল নাও থাকতে পারে। তাই যেকোনো প্রকাশিত সংবাদের জন্য অত্র পত্রিকা দায়ী নহে। নতুন বাজার পত্রিকা- বাংলাদেশের সমস্ত জেলা, উপজেলা, ক্যাম্পাস ও প্রবাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! বিস্তারিত: ০১৭১২৯০৪৫২৬/০১৯১১১৬১৩৯৩
শিরোনাম :
সুজানগরের সাতবাড়ীয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধের দাবিতে মানববন্ধন ধামইরহাটে যুবদল কর্তৃক তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি সভা ধামইরহাটে ইএসডিও এর কার্যক্রম উপজেলা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন পাইকগাছায় ইট বোঝাই ট্রাকের ভারে কালভার্ট ভেঙ্গে খালে ;দু-র্ভোগে এলাকাবাসী পাইকগাছা উপজেলায় উন্নত ওয়াশ সেবা বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে বিপন্ন রয়েল বেঙ্গল টাইগার: ২০৭৫ সালের মধ্যে হারিয়ে যাওয়ার শ-ঙ্কা সলঙ্গার দাদপুর জি.আর কলেজের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন উজিরপুরে রাস্তা নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন ইউএনও আলী সুজা সেনাপ্রধানের সাথে সৌদি দূতাবাসের নবনিযুক্ত মিলিটারি অ্যাটাশে এর সৌজন্য সাক্ষাৎ
টেকনাফ উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

টেকনাফ উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

কক্সবাজার থেকে আবু তারেক,

মাদক, অপহরণ, মানব পাচারকারীদেরকে বিতারিত করতে হবে স্লোগানে টেকনাফ উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল টেকনাফ শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণভাবে কমিশনের সভাপতি ও দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইউনূসের সঞ্চালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অপহরণ, মাদক, মানব পাচারকারী নাফ নদীতে মাছ শিকারের সুযোগ করে দেওয়া ও শাহ পরীর দ্বীপ করিডোর খুলে দিয়ে স্হানীয়দের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করতে সরকারকে আহ্বান জানান বক্তারা।
উক্ত মানববন্ধনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন টেকনাফ উপজেলা শাখার প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক এস এন কায়সার জুয়েল বলেন, মাদক, অপহরণ, মানব পাচারকারীদের হুশিয়ারী দিয়ে বলেন এসব কাজ বন্ধ করে টেকনাফের মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে দিন। নাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে একশনে যাবো। অপহরণকারী, ডাকাতদের হাতে আজ আমরা জিম্মি। একের পর এক অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে । যার কারণে আজ আমাদের নিজের কর্মস্থল ও সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাওয়া আসার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিশেষ করে পাহাড়ের পাদদেশ এলাকায় এই সব ঘটনা বেশি ঘটতেছে। প্রশাসনকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করার আহবান জানান।
এসময় সহ সভাপতি হাজী মুস্তফা আহমদ বলেন,
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে স্থানীয়রা কি পরিমাণ কষ্টৈ আছে তার মাথা ব‍্যাথা নেই ,অপহরণ খুন, গুম এসব তারা দেখেনা। কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি! মাদক,খুন,অপহরণ যেন নিত্যনৈমিত্তিক ! এভাবে অব্যাহত থাকলে কক্সবাজার, টেকনাফের প্রতি মানুষের ঘৃণা ও ভয় চলে আসবে!
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি টেকনাফ উপজেলা শাখার সভাপতি আবদুস সালাম বলেন, জেলে পরিবারগুলোর দুঃখ দুর্দশার কথা বিবেচনা করে নাফ নদীতে জেলেদের মাছ শিকার করতে দেওয়ার আহ্বান জানান। এবং শাহপরীর দ্বীপ করিডোর খুলে দেওয়ার আহবান জানান।
এসময় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস বলেন,
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করা না হলে আগামীর উখিয়া-টেকনাফ তথা গোটা কক্সবাজার জেলা হবে এক লোমহর্ষক ও ভয়ংকর নগরী! রাস্ট্র চিন্তাবিদ, স্বদেশপ্রেমী জনগণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগন এ ব্যাপারে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে আমাদের ও আমাদের আগামী প্রজন্মের কপালে অনেক দু:খ আছে!
নির্বাহী সভাপতি আমান উল্লাহ আমান মেম্বার বলেন, অপহরণ, মানবপাচার, নারী নির্য়াতন, যৌতুক,বাল্য বিবাহ,মাদক,ইভটিজিং , চুরি-ডাকাতি,খুন-রাহাজানি ইত্যাদি সামাজিক অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটার আগে স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা আমাদের মৌলিক অধিকার।
প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, মাদক, মানবপাচার, রোহিঙ্গাদের অবাধে বিচরণ, অবৈধ যানবাহন চলাচল, ভাড়া বাসায় রোহিঙ্গাদের বসবাস, ভাড়া বাসা মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে কাঁটাতারের ভিতর বাহিরে না আসা, রোহিঙ্গাদের পণ্যসমূহ বাজারে বিক্রির না করা, টেকনাফ পৌর শহরের প্রধান সড়কে যত্রতত্র স্থানে যানবাহন বাস ও পরিবহন গাড়িসমূহ অবস্থান না করা, টেকনাফকে রোহিঙ্গাদের বসবাস মুক্তসহ উপজেলায় বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ড আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট হয়। সকল অপরাধ কর্মকাণ্ড বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার আহ্বান জানান।
মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি কে এম নুর মোহাম্মদ বলেন,টেকনাফ একটি শান্তিপূর্ণ এলাকা ছিল। এখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের বসবাস। তার মধ্যে আমাদের এই টেকনাফে দিনমজুর,জেলে এবং কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে ৯০% মানুষ। সম্প্রীতি আমাদের এই টেকনাফের কিছু কিছু এলাকায় অপরাধের দৌরাত্ম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে । বিশেষ করে কিছু এলাকার স্থানীয় দুষ্টপ্রকৃতি লোকের যোগসাজশে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ডাকাতদের কারণে এলাকার শান্তিপ্রিয় সাধারণ জনগণ আজ অসহায়। সত্যিকার অর্থে, অপহরনকারী ও ডাকাতদের হাতে আজ আমরা জিম্মি। একের পর একের অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা ঘটে যাচ্ছে । যার কারণে আজ আমাদের নিজের কর্মস্থল ও সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাওয়া আসার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিশেষ করে পাহাড়ের পাদদেশ এলাকায় এই সব ঘটনা বেশি ঘটতেছে। ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর। কিন্তু, আমি লক্ষ্য করছি সঠিক সংবাদ না পেয়ে মাঝে মধ্যে দূর্গম পাড়ি দিয়ে অভিযান পরিচালনা করা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীরও বেগ পেতে হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, মানবাধিকার কমিশনের সিঃ সহ-সভাপতি হাবিবুল হক (সাকি) সহ-সভাপতি আবুল কাসেম,ওমন ফারুক রিয়াদ,বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি টেকনাফ পৌর শাখার সভাপতি হাজী আব্দুল গনি,বাহারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, মোহাম্মদ ইউনুস, নুরুল কবির, সহ-প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলাম তাজ, মোঃ আদিল, আরকান ছিদ্দিকী, আজিজুর রহমান, ইলিয়াজ, সাংবাদিক ইউনুস অভি, সাংবাদিক সোহেল চৌধুরী, আব্দুর রহমান ইবনে আমিন, নোমান হাসেমী,মাস্টার আবদুল মাবুদ, আনোয়ারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্র শ্রমিক, কৃষক,জেলে উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media






© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Design & Developed BY AMS IT BD