আশুলিয়ায় ডাঃ মোহাম্মদ আলীর জমি দখলের চেষ্টায় সাবেক মেজর মোস্তফার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

হেলাল শেখ,
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার (আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের সাথে অন্ধ কলোনীর মাথায়) ডাঃ মোহাম্মদ আলী ওরফে সিদ্দিকীর জমি দখলের চেষ্টা করছে সাবেক মেজর মোস্তফা কামাল। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ আলী এবং মোস্তফা কামাল আদালতে মামলা ও আশুলিয়া থানায় একাধিক অভিযোগ এবং জিডি করেছেন। আশুলিয়া থানা পুলিশ একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আশুলিয়া থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর সাকিনস্থ পূর্ব নরসিংহপুর মৌজার বিআরএস খতিয়ান নং ১১৪৯, দাগ নং ২৩৩৬ জমির পরিমাণ ৪২ শতাংশ, যাহা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী খরিদ সূত্রে মালিক ও ভোগ দখলে আছেন। বিআরএস রেকর্ড ও খাজনা খারিজ নিয়মিত পরিশোধ করেন, উক্ত জমিতে টিনসেড বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করিয়া ভোগ দখলে নিয়ত আছেন তিনি, বাড়ি ঘর ও দোকানপাট দখলের চেষ্টা করছে সাবেক মেজর মোস্তফা কামালসহ তার লোকজন।
ভুুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী বলেন, গত (৩১ মে ২০২৩ইং) তারিখ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উক্ত বিবাদী সাবেক মেজর মোস্তফা কামাল এর সন্ত্রাসী বাহিনী মোঃ ডালিম মিয়ার নেতৃত্বে দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়া বে-আইনি দলবদ্ধ হইয়া অনধিকার ভাবে আমার উক্ত জমিতে প্রবেশ করিয়া আমার পুরাতন টিনের ঘর ভাংচুর করে সেখানে নতুন ঘর নির্মাণ করার চেষ্টা করে। আমি সংবাদ পাইয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছাইয়া তাদেরকে বাধা প্রদান করিলে বিবাদীগণ আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়-ভীতিসহ হুমকি প্রদান করে। একপর্যায়ে সেখানে মারামারির পরিস্থিতি হয়, এসময় তাদের সাথে কুলাইতে না পেরে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করার জন্য একটি অভিযোগ দায়ের করি। এসময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং নতুন করে যেন কোনো মারামারি বা সংঘর্ষ না করা হয় সেইজন্য দুইপক্ষকে সাবধান করে গেছেন পুলিশ অফিসার। এ বিষয়ে সাবেক মেজর মোস্তফা কামাল এর বক্তব্য নিতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি কিন্তু তার লোকজন বলছিলো যে, এই জমি দখলের চেষ্টার বিষয়ে অভিযোগ মিথ্যা আর মেজর সাহেব থানায় গিয়ে কাগজপত্র ফেলে দিবে জমি কার তা দেখা যাবে এমনটি তারা দাবী করেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের অন্ধ কলোনী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর জমিতে গিয়ে যা দেখছি, তা হলো ঘরের টিন খোলা ছিলো, দুই পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলে প্রাথমিকভাবে সমস্যা সমাধান করে দিয়ে আসছি, দুইপক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকা হবে, এর আগে আর কেউ যেন বিবাদ সৃষ্টি না করেন। তিনি আরো বলেন, এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, থানায় অভিযোগ ও জিডি করেছেন ভুক্তভোগী। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *