আদালতের আদেশে দায়িত্ব পান প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন

এম এস সাগর,

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।

নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেন আদালতের আদেশে আবশেষে (২৮মে) রবিবার সকালে দায়িত্ব ফিরে পান এবং প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম সুস্ঠুভাবে পরিচালনা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সে সময় উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মন্ডল দীপ, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক ও কর্মচারীসহ স্থানীয় সুধীবৃন্দ।

জানা গেছে, রায়গঞ্জ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. সোহরাব হোসেন বিধি মোতাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছে। অত্র প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকসহ পাচঁ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদশূন্য। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল হক সরকার স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন কে গোপনে নিয়োগ দিতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিধিভঙ্গ করে নিয়োগ দিতে রাজি না হওয়ায় সভাপতি ও কমিটির কয়েকজন সদস্য বিধি বহির্ভুতভাবে গত ২১মার্চ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন কে অব্যাহতি প্রদান করে এবং গত ২৩মার্চ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে সহকারী শিক্ষক এস এম গোলাম মোস্তফা কে দায়িত্ব দেয়। দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে গত ১২এপ্রিল এ বিষয়ে সোহরাব হোসেন আবেদন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৩এপ্রিল তাকে এই পদে বহাল রেখে সেখান থেকে একটি নির্দেশনাপত্র দেয়া হয়। সেই নির্দেশনাপত্র সভাপতি আব্দুল হক সরকার অমান্য করে ও দায়িত্ব নিতেও বাধা দেয়। অবশেষে ন্যায় বিচার চেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন আদালতে মামলা করেন। দুই পক্ষের শুনানি শেষে তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে গত ৫মে কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের সহকারী জজ রবিউল ইসলাম উক্ত মামলার বাদী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে বহাল রেখে মামলার রায় প্রকাশ করেন। আদালতের আদেশে আবশেষে (২৮মে) রবিবার সকালে সোহরাব হোসেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মন্ডল দীপ বলেন, আদালতের আদেশে সোহরাব হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, সভাপতির অনিয়ম ও অত্যাচারে আমি অতিষ্ঠ। দীর্ঘদিন থেকে আমাকে হয়রানি করে আসছেন। আদালতে মামলা করে আমি সঠিক রায় পেয়েছি। আজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব বুঝে নিলাম। সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সোহরাব হোসেন কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *