October 31, 2024, 2:13 am
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’ দেওয়া বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর ভেড়িপাড়া মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজশাহী জেলা ও মহানগর পুলিশ (আরএমপি) যৌথভাবে সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আবু সাঈদ চাঁদ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং রাজশাহী জেলা কমিটির আহ্বায়ক। তিনি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। একাধিকবার বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও নির্বাচিত হতে পারেননি।
গত ১৯ মে বিকালে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে চাঁদ বলেন, ‘আর ২৭ দফা ১০ দফার মধ্যে আমরা নাই। এক দফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব।’
তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও দুই দিন পর ছড়িয়ে পড়লে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। রাজশাহী জেলা ও মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন থানায় তার নামে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বেশকিছু মামলা হয়। আত্মগোপনে থাকা চাঁদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে আসছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারের পর চাঁদকে নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে আরএমপির সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এরপর দুপুর ১২টায় আরএমপি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ায় রাজশাহীর পুঠিয়া থানায় প্রথম চাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন জানান, বিভিন্ন অপরাধে চাঁদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই ২০ থেকে ২৫টি মামলা ছিল। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির ঘটনায় রাজশাহী জেলা ও মহানগরের থানাগুলোতে আরও ছয় থেকে সাতটি মামলা হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন থানায় বেশকিছু মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তিনি আরও জানান, আবু সাঈদ চাঁদ প্রাইভেটকারে চড়ে আত্মগোপনের জন্য কোথাও পালাচ্ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জেলা ও মহানগর পুলিশ যৌথভাবে চেকপোস্ট বসিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
ডিআইজি আবদুল বাতেন আরও জানান, আদালতে চাঁদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে কি না তা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া দেশের অন্য থানাগুলোতে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়েও আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন, নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাকসহ ঊর্দ্ধতন অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক,
রাজশাহী।