রফিকুল ইসলাম, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী)
আবারও দুশ্চিন্তায় সাগর উপকূলের জেলেরা। দূর্যোগ শেষ হতে না হতেই ২০ মে থেকে শুরু হচ্ছে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞার আগ মূহুর্তে দূর্যোগের কারণে মাছ ধরতে না পারায় চরম লোকসানের মুখে পরতে হচ্ছে জেলেদের। ধারদেনায় জর্জরিত অনেক জেলেই পেশা ছাড়ার পথে। তাই নিষেধাজ্ঞার সময় কমানো অথবা পিছিয়ে দেয়ার দাবী তাদের।
উত্তাল বঙ্গোপসাগর। এলোমেলো ঢেউয়ের কারণে সমুদ্রে টিকতে না পেরে ৫ থেকে ৭ দিন ধরে ঘাটে নোঙর করে ছিলো জেলেরা।
এরই মধ্যে আবার শুরু হতে যাচ্ছে সমুদ্রে মাছ শিকারের ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। জেলেদের জন্য এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই সাগর উপকূলের জেলেদের চোখে মুখে দেখা দিয়েছে হতাশার ছাঁপ।
একের পর এক সংকটে ধারদেনায় জর্জরিত হয়ে পরছেন রাঙ্গাবালীর উপকূলের হাজার হাজার জেলে।
জেলেরা জানান, সামনের বর্ষায় মাছ ধরার উপযোগী মওসুম। যে সময়টাতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পরার কথা। সে সময়টাতেই থাকবে নিষেধাজ্ঞা। দীর্ঘ সময় মাছ ধরতে না পেরে নতুন করে বইতে হবে ঋণের বোঝা। তাই পেশা ছাড়াতে বাধ্য হবেন অনেকেই। নিষধাজ্ঞার সময় কমানো দাবী জেলেদের।
একদিকে বাংলাদেশে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ভারতের জেলেরা মাছ শিকর করে নিয়ে যায় বলে বরাবরই দাবী করে আসছে মৎসজীবিরা। তাই ইলিশ সম্পদ রক্ষায় সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য দু ‘দেশের সমন্বয়ে নিষেধাজ্ঞার সময়কাল নির্ধারণের দাবী মৎসজীবীদের।
রাঙ্গাবালী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বাবুল জানান, মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে বেকার জেলেদের জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞার সময়কালে ভিন দেশী কোন জেলে যাতে বাংলাদেশের জল সীমায় মাছ ধরতে না পারে সে লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং মৎস্য বিভাগ তৎপর থাকবে।
এর আগে গত পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তেতুলীয়া নদী সহ দেশের পাঁচ অভায়শ্রমে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা ছিলো। ২০ দিনের মাথায় এবার সমুদ্রে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা! ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ থাকবে।
রাঙ্গাবালীতে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা জেলের সংখ্যা ১২ হাজার ৮২০ । নিবন্ধনের বাহিরেও রয়েছে ক-এক হাজার জেলে ।
রফিকুল ইসলাম
রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী।
Leave a Reply