ঝালকাঠিতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এক ব্যবসায়ী দম্পতি আহত হওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এ ঘটনায় আহত সৈয়দ মেহেদী হাসান বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্যর নামে মামলা হলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এই কিশোর গ্যাংরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় রাখা হয় এবং এলাকাভিত্তিক কিছু নেতা কিশোর গ্যাংদের লালন পালন করেন এবং সময়মত ও প্রয়োজনবোধে তাদের দিয়ে এই সকল নেতারা তাদের কাজ হাছিল করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এই কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম অসম্ভব মাত্রাতিক্ত বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে গেছে।

ঝালকাঠি পৌর শহরের স্ট্যান্ড সড়কে এ ঘটনা ঘটে। মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ব্যবসায়ী সৈয়দ মেহেদী হাসান সুমন (৩০) ও তার স্ত্রী মাহামুদা খানমকে (২৭) কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে কিশোর গ্যাং সদস্যরা। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, সৈয়দ মেহেদী হাসান সুমনের স্ট্যান্ড সড়কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে আসছে।

তাদের মাদক সেবনের প্রতিবাদ করলে তারা সুমনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ১০ মে বিকেলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য শুভ (২২), সুজন (২৪), মেহেদী (২৪), মুরাদ (২৩), নাইম (২০), হৃদয় (২১), তন্ময় (২০) ও রাজিব (২৪) একত্রিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান সুমনের বাসার ওপর ইট ছুড়তে থাকে।

তখন তিনি বাসা থেকে সামনে বের হয়ে বাসায় ইট ছোড়ার প্রতিবাদ করলে মাদকসেবী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। সুমনের চিৎকার শুনে ঘরের ভেতর থেকে স্ত্রী মাহমুদা খানম বের হয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।

এ ঘটনার সময় পরিবারের অন্য সদস্য ও স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ১০ মে বিকেলের এ ঘটনায় আহত সুমন শারিরীকভাবে কিছুটা সুস্থ হয়ে শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে ঝালকাঠি থানায় কিশোর গ্যাংয়ের ৮ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, আম পাড়াকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *